নগরের নিউমার্কেট, রিয়াজউদ্দিন বাজার, আন্দরকিল্লা এলাকার বিভিন্ন সড়কের ফুটপাতের পাশে গড়ে উঠা হকার্স মার্কেটগুলোর ব্যবসা এখন বেশ সরগরম। মূলত নিম্নবিত্তদের মার্কেট হিসেবে পরিচিত এ মার্কেটগুলো। যেখানে ভিড় করছেন সমাজের নিম্নআয়ের মানুষ থেকে উচ্চবিত্ত মানুষরাও।
এখানে রয়েছে লুঙ্গি, থান কাপড়, ছেলেদের শার্ট, প্যান্ট ও জুতাসহ সবধরনের পণ্যের বিশাল কালেকশন। এছাড়া ক্লিপ, ইমিটেশনের গয়না, ঘর সাজানোর জিনিসও পাওয়া যাচ্ছে।
হকার্স মার্কেট ঘুরে দেখা যায়, ছোট ছোট দোকানিরা শিশুদের ফ্রক, টপস স্কার্ট, গেঞ্জি সেট, পায়জামা পাঞ্জাবি, জামা, মেয়েদের থ্রি-পিস, টু-পিস, কামিজ, পুরুষদের পাঞ্জাবি, শার্ট, টি-শার্ট, গেঞ্জি ও লুঙ্গি সাজিয়ে বসেছেন বিভিন্ন বিক্রেতারা।
ব্যবসায়ীদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, কিছু কিছু বিক্রেতা বাড়তি আয়ের আশায় মার্কেটগুলো ঘিরে ঈদের পোশাক, জুতা, পাঞ্জাবি, টুপি, প্রসাধনীসামগ্রী বিক্রি করছেন। এসব মৌসুমি ব্যবসায়ীদের কারণে মূল ব্যবসায়ীদের ব্যবসায় সমস্যা হচ্ছে বলে অভিযোগ তাদের।
রক অন দোকানের বিক্রেতা সজল জয়নিউজকে বলেন, আমাদের দোকানে বিভিন্ন ব্র্যান্ডের প্যান্ট এবং শার্ট রয়েছে। সর্বনিম্ন ৩০০ থেকে সর্বোচ্চ ১২০০ টাকা দামের শার্ট রয়েছে দোকানে।
বিক্রি হচ্ছে কেমন- এ প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, এখন পর্যন্ত ভালো ব্যবসা হয়েছে। আশা করি সামনে ব্যবসা আরো বাড়বে।
পরিবারের জন্য হকার্স মার্কেট থেকে কাপড় কিনতে আসা আয়েসা বেগম জয়নিউজকে বলেন, আসলে এখানে যারা আসে বেশিরভাগই মধ্যবিত্ত এবং নিম্নআয়ের মানুষ। শহরের বড় বড় মার্কেটগুলোতে জামা-কাপড়ের দাম অনেক বেশি। আমাদের মতো গরিবদের ঈদের কেনাকাটার জন্য ফুটপাত ও হকার্স মার্কেটই ভালো।
নিউ মাকের্টের সামনে জুতার দোকান সাজিয়ে বিক্রি করছেন মো. আবদুল নামে এক বিক্রেতা। তিনি জয়নিউজকে বলেন, খুব ভালো বিক্রি হচ্ছে। আশা করছি সামনের দিনগুলোতে আরো ভালো বিক্রি হবে। আমার দোকানে সর্বনিম্ন ২০০ থেকে সর্বোচ্চ ৭০০ টাকায় ক্রেতারা পছন্দসই জুতা কিনতে পারবেন। শপিংমলগুলোতে এত সস্তা দামে জুতা পাওয়া সম্ভব নয়।
জহুর হকার্স মার্কেটে প্রবেশমুখে পাঞ্জাবি ও প্যান্টের দোকান মালিক নুর কবির জয়নিউজকে বলেন, ১০ রমজান পর্যন্ত বেচাকেনা তেমন ছিল না। আশা করছি ১৫ রমজানের পরে বিক্রি বাড়বে। তবে প্রতিদিনই ইফতারের পর ভিড় বাড়ছে।