নারীদের পিরিয়ডের সময়ে অস্বস্তি। বারবার প্যাড পাল্টানোর ঝামেলাও কম নয়। পাশাপাশি খরচের বিষয়টি তো রয়েছেই। আবার প্যাড থেকে তৈরি হওয়া বর্জ্য প্রকৃতির জন্যও ক্ষতিকর। তাই অনেকেই আস্থা রাখতে শুরু করেছেন মেন্সট্রুয়েশন কাপে।
এটি আমাদের দেশে এখনও খুব একটা পরিচিত না হলেও বাইরের দেশগুলোতে বেশ জনপ্রিয়। মেন্সট্রুয়েশন কাপ প্রথম পেটেন্ট নেওয়া হয়েছিল ১৯৩২ সালে। তারপর ২০০২ নাগাদ এর প্রথম সিলিকন বেসড মডেলটি বিক্রি হয়। বাইরের দেশে অনেকে স্বাস্থ্য আর পরিবেশের কথা ভেবে রীতিমতো এর ব্যবহারও শুরু করে দিয়েছেন।
মেন্সট্রুয়েশন কাপ দেখতেখানিকটা বলের মতো, আর এটা মূলত কালেক্টর। প্যাডের মতো মেন্সট্রুয়াল ব্লাড সোক করে নেয় না। ভ্যাজাইনাল ক্যানালে লাগিয়ে নিলেই হল, তারপর সেখান থেকে বিনা বাধায় ব্লাড কালেক্ট করে নেয়।
মেন্সট্রুয়েশন কাপের সুবিধাও অনেক। এই ইকো ফ্রেন্ডলি মেন্সট্রুয়েশন কাপ ব্যবহার করা কিন্তু খুব সোজা। ঝামেলাও কম। এতে কোনো কেমিক্যাল বা সিন্থেটিক পদার্থও নেই। ফলে নিশ্চিন্তে ব্যবহার করতে পারেন।
এটি প্যাডের মতো একবার ব্যবহার করেই ফেলে দিতে হবে না। একটা মেন্সট্রুয়েশন কাপ আপনি অনেকদিন ধরে ব্যবহার করতে পারবেন। জাস্ট কন্টেনারটা ভরে এলেই ফেলে দিন ব্লাডটা (তাও সাধারণত ১০-১২ ঘণ্টার আগে ভরে না!), আর তারপর ভালো করে ধুয়ে নিলেই আবার তৈরি।
সমীক্ষা বলছে, প্যাড বা ট্যাম্পনের তুলনায় মেন্সট্রুয়েশন কাপ প্রায় ২.৮ গুণ কম পাল্টাতে হয়। বুঝে দেখুন, আপনার কত টাকা বেঁচে যাবে।
এবার ভেবে দেখুন তাহলে প্যাড না কাপ- কোনটা আপনি ব্যবহার করবেন আপনার নেক্সট পিরিয়ডে? বেছে নিতে হবে আপনাকেই।