ঈদের বাজারে ছেলেদের আকর্ষণের মূল কেন্দ্রবিন্দুতে থাকে পাঞ্জাবি। ফ্যাশন হাউসগুলো সাজানো হয় বাহারি কালেকশনে।
এবারও ব্যতিক্রম নয়। রোজার শুরু থেকেই নগরের বিভিন্ন বিপণিবিতানে পাঞ্জাবি দেখতে ও কিনতে আসছেন কিশোর-তরুণসহ সব বয়সের মানুষ।
তবে বিক্রেতারা বলছেন, এখনও সেভাবে জমে ওঠেনি পাঞ্জাবির বাজার। ক্রেতা আসছেন, তবে প্রত্যাশার তুলনায় কম।
প্রতি বছর ২০ রোজার পর মার্কেটগুলোতে পুরুষ ক্রেতারা আসেন বেশি। সে হিসেবে ২৬ মের পর ক্রেতার সংখ্যা বাড়তে পারে বলে আশা প্রকাশ করেছেন বিক্রেতারা।
বৃহস্পতিবার (২৩ মে) নগরের বেশ কয়েকটি বিপণিবিতান ও ফ্যাশন হাউস ঘুরে এমনটা জানা গেছে।
গুলজার টাওয়ারের ব্যবসায়ী নাহিদ ইসলাম জয়নিউজকে বলেন, প্রতিবার ২০ রোজার পর বিক্রি বেড়ে যায়, শেষ দিকে একটু বিশ্রামের সময়ও থাকে না। তবে এখনও মোটামুটি বিক্রি হচ্ছে।
ইফতারের পরে কম বিক্রি হয় উল্লেখ করে নাহিদ বলেন, দিনে তরুণরা দল বেঁধে আসে পাঞ্জাবি দেখতে। এক কালারের ডিজাইন করা পাঞ্জাবির চাহিদা বেশি।
তিনি আরও বলেন, দেড় থেকে আড়াই হাজার টাকার পাঞ্জাবি বেশি বিক্রি হচ্ছে। ক্ষেত্রবিশেষে রঙ ও কাপড়ের ওপর ভিত্তি করে তিন থেকে সাড়ে তিন হাজার টাকা দামের পাঞ্জাবিও বিক্রি হচ্ছে।
পাঞ্জাবি ডিজাইনের ক্ষেত্রে প্রতিবারের মতো এবারো দেশের ঐতিহ্য ও ফ্যাশন সচেতনতার বিষয়টি খেয়াল রাখা হয়েছে। শিশু থেকে শুরু করে সববয়সী মানুষের জন্য বাহারি রঙ ও ডিজাইনের পাঞ্জাবি এনেছে ফ্যাশন হাউসগুলো। এর মাঝে শৈল্পিক, নক্ষত্র, দেশী দশের কালেকশনে বৈচিত্রের দেখা মিলেছে বেশি।
নগরের গুলজার টাওয়ার, আফমি প্লাজা, মতি টাওয়ার, কেয়ারি ইলিশিয়াম, শপিং কমপ্লেক্স, ফিনলে স্কয়ার, আমিন সেন্টার ও আখতারুজ্জামান সেন্টারেও দেখা মিলেছে বাহারি ডিজাইনের দেশি-বিদেশি ব্র্যান্ডের পাঞ্জাবির সমাহার।
আফমি প্লাজার একটি ফ্যাশন হাউসে পাঞ্জাবি দেখছিলেন শিক্ষার্থী সাইদ আহমেদ। তিনি জয়নিউজকে বলেন, সাদার ভেতরে হালকা কারুকাজের পাঞ্জাবি আমার বেশি পছন্দ। কয়েকটি ফ্যাশন হাউস ঘুরেছি, পছন্দ হলেই নিয়ে নেব।
এবার বাজারে আসা পাঞ্জাবির মধ্যে অধিকাংশের শরীর ও হাতায় নকশার ছাপে নতুনত্বের দেখা মিলেছে। আবহাওয়ার কথা মাথায় রেখে সুতি কাপড়ের দিকে ঝুঁকছেন ক্রেতারা। এর পাশাপাশি সিল্ক, তাঁত ও লিলেন কাপড়ও রয়েছে পছন্দের তালিকায়।
ফ্যাশন হাউস দেশী দশ-এর হাসান উল্লাহ নামে এক বিক্রেতা জয়নিউজকে বলেন, আমরা সবসময় চেষ্টা করি ক্রেতাদের কাছে সেরা পণ্যটি পৌঁছে দিতে। এর ধারাবাহিকতায় এবারও সববয়সী ক্রেতার জন্য আকর্ষণীয় ডিজাইনের পাঞ্জাবি নিয়ে হাজির হয়েছি। আশা করছি ক্রেতারা তাদের সামর্থে্যর মধ্যেই পছন্দের পাঞ্জাবি কিনতে পারবেন।
এদিকে নগরের বিভিন্ন স্থানে দর্জি দোকানগুলোতেও এখন চলছে পাঞ্জাবি সেলাইয়ের কাজ। রোজার আগে থেকেই অর্ডার নেওয়া শুরু হয় এসব দর্জি দোকানে। নির্দিষ্ট সমযের মধ্যে ডেলিভারি দিতে এখন রাতে-দিনে কাজ করছেন কারিগররা।