ভারতে লোকসভা নির্বাচনের ফলাফল ঘোষিত হয়েছে। দ্বিতীয়বারের মত নরেন্দ্র মোদি আবারও ক্ষমতায় ফিরে এলেন। পশ্চিমবঙ্গে এই মোদি ঝড়ে বিধ্বস্ত হয়েছেন তৃণমূল কংগ্রেস নেত্রী মমতা ব্যানার্জী।
মমতা রাজ্য থেকে পাঁচ চিত্রতারকাকে এবার মনোনয়ন দেন। তাঁরা হলেন মুনমুন সেন, শতাব্দী রায়, দেব, মিমি চক্রবর্তী ও নুসরাত জাহান। মুনমুন সেন ছাড়া বাকি চারজন জিতেছেন।
মুনমুন হেরে গেছেন বিজেপি প্রার্থী সঙ্গীতশিল্পী বাবুল সুপ্রিয়র কাছে। বিজেপি প্রার্থী অভিনেত্রী লকেট চট্টোপাধ্যায় চিকিৎসক রতন দে নাগকে হারিয়েছেন। তিনি ছিলেন এই আসনে তৃণমূলের সাংসদ।
জয়ের পর লকেট আনন্দ প্রকাশ করেছেন। তবে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন মুনমুন সেন।
জয়ের পর লকেট ঘোষণা দিয়েছেন, সিঙ্গুরের আন্দোলনের মধ্য দিয়ে মমতার উত্থান হয়েছিল। এই আন্দোলনের পথ ধরে ২০১১ সালে ক্ষমতায় এসেছিলেন মমতা। এবার এই সিঙ্গুর থেকে শুরু হবে মমতার পতনের আন্দোলন।
লকেট বলেন, আমরা চাই, আবার এই সিঙ্গুরে টাটা ফিরে আসুক। তিনি পশ্চিমবঙ্গকে শিল্পসমৃদ্ধ করতে চান। তাই টাটাকে ফিরে আসার ডাক দিয়েছেন। বলেছেন, ‘আসুক টাটা এখানে, শিল্প গড়ুক এখানে।’
অন্যদিকে অভিনেত্রী মুনমুন সেন এবার আসানসোল আসনে তৃণমূলের টিকিটে লড়ে বিজেপি প্রার্থী সঙ্গীতশিল্পী বাবুল সুপ্রিয়র কাছে হেরে যান। তবে পরাজয় মানতে পারেননি মুনমুন।
মুনমুন এতটাই আঘাত পেয়েছেন যে তিনি সাংবাদিকদের কাছে রাজনীতি থেকে বিদায় নেওয়ার কথাও বলেছেন। এই পরাজয়ের জন্য দোষ চাপিয়েছেন তৃণমূলের নিচুতলার নেতা–কর্মীদের উপর। বলেছেন, ‘ওরাই আমাকে হারিয়ে দিয়েছে। ওরা ভালো নয়। এরপর আমায় ডাকলে আর পাবে না। বিদায় নেব রাজনীতি থেকে।’
তিনি আরো বলেন, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ডাকেই তিনি তৃণমূলে গিয়েছিলেন। সাংসদও হয়েছিলেন। এবার মমতা বন্দ্যোপধ্যায়কে বলবেন, দলকে ঢেলে সাজাতে। তিনি একাই লড়ে যাচ্ছেন! দলের নিচুতলার মানুষগুলো ভালো নয়!
জয়নিউজ/বিশু