বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের (বিএনপি) ভাইস চেয়ারম্যান ও সাবেক মন্ত্রী আবদুল্লাহ আল নোমান বলেছেন, আমরা নির্বাচন করতে চাই। কিন্তু আওয়ামী লীগ নির্বাচন চায় কি না সন্দেহ। নির্বাচন নিয়ে জনগণের সন্দেহ রয়ে গেছে। নির্বাচনে ভোট চুরি করার জন্য ইভিএম পদ্ধতি নিয়ে আওয়ামী লীগ ষড়যন্ত্র করছে।
শনিবার (১ সেপ্টেম্বর) বিকেলে বিএনপির ৪০তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে নগরীর কাজীর দেউরীস্থ নুর আহমদ সড়কে নগর বিএনপি আয়োজিত এক গণ সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি আরো বলেন, বিএনপি হচ্ছে মুক্তিযোদ্ধাদের দল। ১৯৭৮ সালে জিয়াউর রহমান দেশের বিভিন্ন স্তরের জনগণের সাথে সম্পৃক্ত নেতাদের নিয়ে বিএনপি গঠন করেছিলেন। জিয়াকে যখন হত্যা করা হয় তখন এদেশের জনগণ স্লোগান দিয়েছিল ‘এক জিয়া লোকান্তরে লক্ষ জিয়া ঘরে ঘরে’। আজকে বিএনপি লক্ষ জিয়ার দল। সরকার এই দলকে আজকে সভা সমাবেশ করতে দেয় না। আমরা রাস্তায় মিটিং করতে চাই না, মাঠে করতে চাই।
তিনি বলেন, বর্তমান নির্বাচন কমিশন সরকারের আজ্ঞাবহ। সংবিধান পরিবর্তন করে নিরপেক্ষ নির্বাচন দিতে হবে। বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তি ছাড়া কোন নির্বাচনে বিএনপি অংশগ্রহণ করবে না। শেখ হাসিনা বলেছেন জনগণ তাদের সাথে আছে, তাহলে ৫ জানুয়ারির নির্বাচনে বিনা ভোটে ১৫৩ জন জনগণের ভোট ছাড়া কিভাবে নির্বাচিত হলো?
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির ভাইস চেয়ারম্যান ও সাবেক মন্ত্রী মীর নাছির উদ্দিন বলেন, শহীদ জিয়া ইসলামী মূল্যবোধ ও জাতীয়তাবাদী স্বাধীন সত্ত্বা নিয়ে এদেশে বেঁচে থাকার জন্য বিএনপি গঠন করেছিলেন। বেগম জিয়াকে কারাগারে বন্দী করে রেখে আওয়ামী লীগ আজ কম্পিত। বেগম জিয়াকে মুক্ত করার জন্য অভ্যূত্থান ঘটবে। আওয়ামী লীগ সেটা সামাল দিতে পারবে না। তিনি আরো বলেন, সরকার বিএনপিকে নিশ্চিহ্ন করতে পারবে না। ১৯৮২ সালে সামরিক শাসন ও ১৫ আগস্টের হত্যাকারীরা আওয়ামী লীগের। আওয়ামী লীগই বেনিফিশিয়ারী।
তিনি আরো বলেন, বিএনপি নেতানির্ভর নয়, কর্মীনির্ভর দল। বেগম জিয়ার ত্যাগের ফসল বিএনপি। জনগণ সিলেক্টেড প্রধানমন্ত্রী চায় না, ইলেক্টেড প্রধানমন্ত্রী চায়। চট্টগ্রাম যখন গর্জে ওঠে সারাদেশ তখন গর্জে উঠবে। চট্টগ্রাম থেকে আন্দোলনের সূচনা হবে।
কেন্দ্রীয় বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক মাহবুবুর রহমান শামীম বলেন, দেশনেত্রীকে সরকার অন্যায়ভাবে বন্দী করে রেখেছে। তাঁকে সুচিকিৎসা দেয়া হচ্ছে না। তাঁর প্রতি অমানবিক আচরণ করা হচ্ছে।
সভাপতির বক্তব্যে ডা. শাহাদাত হোসেন বলেন, চট্টগ্রামের জাতীয়তাবাদী পরিবার আজ ঐক্যবদ্ধ। বেগম জিয়ার মুক্তির জন্য চট্টগ্রামে কোন মিছিল ও মিটিং নয়, স্বেচ্ছায় কারাবরণ কর্মসূচি গ্রহণ করা হবে।
নগর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আবুল হাশেম বক্করের সঞ্চালনায় এতে আরো বক্তব্য রাখেন নগর বিএনপির সিনিয়র সহ-সভাপতি আবু সুফিয়ান, কেন্দ্রীয় বিএনপির সদস্য আলহাজ্ব সামসুল আলম, চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির সহ-সভাপতি আলহাজ্ব এম এ আজিজ, মোহাম্মদ মিয়া ভোলা, সাবেক কাউন্সিলর সামশুল আলম, এডভোকেট আবদুস সাত্তার, হাজী মোঃ আলী, সবুক্তগীন সিদ্দিকী মক্কী, সাবেক কমিশনার মাহাবুবুল আলম, সিনিয়র যুগ্ম সম্পাদক এস এম সাইফুল আলম, যুগ্ম সম্পাদক কাজী বেলাল উদ্দিন, আর ইউ চৌধুরী শাহীন, ইয়াছিন চৌধুরী লিটন, আবদুল মান্নান প্রমুখ।