বাঁশখালীতে তৃতীয় শ্রেণির এক মাদ্রাসাছাত্রকে বলাৎকারের অভিযোগে মো. ওমর ফারুক (৩০) নামে এক যুবককে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
বৃহস্পতিবার (২৩ মে) রাত সাড়ে ৯টার দিকে পুলিশ তাকে গ্রেপ্তার করে।
বলাৎকারের শিকার শিশুটি পৌরসভার দক্ষিণ জলদী আশকরিয়া পাড়ায় এক হেফজখানার ছাত্র। অভিযুক্ত ওমর ফারুক ওই হেফজখানার শিক্ষক।
দুই ছেলে সন্তানের জনক ফারুক বাঁশখালীর চাম্বল ইউনিয়নের পশ্চিম চাম্বল ডেপুটি ঘোনা এলাকার মৃত মুন্সি মিয়ার ছেলে।
বলাৎকারের শিকার শিশুটির মা বাদী হয়ে বৃহস্পতিবার রাত ১২টায় থানায় মামলা দায়ের করেছেন।
পুলিশ ও গ্রামবাসী সূত্রে জানা গেছে, দক্ষিণ জলদী আশকরিয়া পাড়ার এক প্রবাসীর ছেলেকে স্থানীয় একটি হেফজখানায় ভর্তি করিয়ে দেন তার মা। সেখানে শিশুটি তৃতীয় শ্রেণিতে পড়ত এবং রাতেও ওই হেফজখানায় থাকত।
ওই হেফজখানার শিক্ষক মো. ওমর ফারুক প্রায় রাতে ঘুম থেকে জাগিয়ে তাকে বলাৎকার করত বলে অভিযোগ করে শিশুটি। বৃহস্পতিবার দুপুরে শিশুটি মাদরাসা থেকে পালিয়ে বাড়িতে এসে মা-কে ঘটনা জানায়।
ঘটনা জানার পর শিশুটির মা কৌশলে ওই দিন ইফতারের পর ওই শিক্ষককে ফোনে বাড়িতে ভাতের দাওয়াত দেন। শিক্ষক বাড়িতে এলে প্রতিবেশী লোকজনসহ আটকে বলাৎকারের ঘটনা জানতে চাইলে অকপটে স্বীকার করে সে। পরে স্থানীয়রা পিটিয়ে ওই শিক্ষককে থানা পুলিশের কাছে সোপর্দ করে।
বাঁশখালী থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. কামাল হোসেন জয়নিউজকে বলেন, ‘ঘটনা শোনার পর রাতে তদন্ত শেষে নিশ্চিত হয়ে মামলাটি রেকর্ড করা হয়েছে। শিশুটির মা বাদী হয়ে মামলা করেছেন।’