ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের মিরসরাইয়ে বাস ও ট্রেনের সংঘর্ষে দুইজন নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন বাসের ২৫ যাত্রী। রোববার (২ সেপ্টেম্বর) ভোর ৪টার দিকে মিরসরাইয়ের বারইয়ারহাট রেল ক্রসিংয়ে এ দুর্ঘটনা ঘটে। নিহতদের মধ্যে সুনীল চাকমা নামে একজনের পরিচয় পাওয়া গেছে। এদিকে, দুর্ঘটনার বিষয়টি তদন্তে চার সদস্যের কমিটি গঠন করেছে রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ।
মিরসরাই ফায়ার সার্ভিসের সিনিয়র অফিসার রবিউল আজম জানান, চট্টগ্রাম থেকে ঢাকার উদ্দেশে ছেড়ে যাওয়া বিজয় এক্সপ্রেস ট্রেনের সঙ্গে খাগড়াছড়িগামী এস আলম পরিবহনের একটি বাসের সংঘর্ষ হয়। এতে বাসটি দুমড়ে মুচড়ে যায়। খবর পেয়ে মিরসরাই ফায়ার সার্ভিসের দুটি ইউনিট আড়াই ঘণ্টার চেষ্টায় আহতদের উদ্ধার করে। তাদের মিরসরাইয়ের বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। মিরসরাই উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে সুনীল চাকমা নামে এক ব্যক্তির মৃত্যু হয়। এর কিছুক্ষণ পর মৃত্যু হয় অন্যজনের। তার নাম পরিচয় জানা যায়নি।
রেলওয়ে চট্টগ্রাম বিভাগীয় পরিবহন কর্মকর্তা ফিরোজ ইফতেখার জানান, দুর্ঘটনার পর ঢাকা-চট্টগ্রাম রুটে প্রায় আড়াই ঘণ্টা ট্রেন চলাচল বন্ধ ছিল। সকাল সাড়ে সাতটার দিকে ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক হয়। এ ঘটনা তদন্তে চার সদস্যের কমিটি গঠন করা হয়েছে। তদন্ত কমিটির প্রতিবেদনের প্রেক্ষিতে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
বারইয়ারহাট মৎস্য আড়তের ব্যবসায়ী আসাদ মোস্তাফিজ জানান, ঘটনার সময় রেলক্রসিংয়ের গেটম্যান ঘুম ছিল। তাই সিগন্যাল না দেখে ট্রেন চলে আসে। ফলে এ দুর্ঘটনা ঘটে। ঘটনার পর থেকে রেলওয়ের গ্যাটমেন মো. আরিফকে পাওয়া যায়নি।
চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল পুলিশ ফাঁড়ির সহকারী উপ-পরিদর্শক (এএসআই) আলাউদ্দিন তালুকদার জানান, দুর্ঘটনায় আহত ১৫ জনকে চমেক হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এরমধ্যে দুইজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক।
জয়নিউজ/এফও/আরসি