ঘড়ির কাটায় তখন ঠিক দুপুর ২টা। রমজান মাস উপলক্ষে বাজার মনিটরিংয়ের উদ্দেশ্যে হাটহাজারীর ইছাপুর ফয়জিয়া বাজারে নুরজাহান সুইটস এন্ড বেকারিতে উপস্থিত ভ্রাম্যমাণ আদালত।
এ সময় কৌতূহলবশত ভ্রাম্যমাণ আদালতের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) রুহুল আমীন ওই প্রতিষ্ঠানটির পণ্যের ওজন পরিমাপ করতে শুরু করে।
অবিশ্বাস্য হলেও সত্য যে, এ সময় ১ কেজি ওজনের টক দইসহ একটি বাটি পরিমাপে দিলে এর ওজন হয় ৮২৮ গ্রাম। ঠিক অনুরূপভাবে রসমালাই এর ওজন ৯৩৮ গ্রাম। অথচ বিক্রি করার সময় ১ কেজি বলে বিক্রি করে ওজনে কারচুপি করে ক্রেতাদের ঠকিয়ে যাচ্ছেন নির্বিচারে।
ভ্রাম্যমাণ আদালত বিষয়টি আমলে নিয়ে দোকান মালিককে ৫ হাজার টাকা জরিমানা করেন। এছাড়া দোকান মালিকের কাছ থেকে মুচলেকা নিয়ে দোকানটি সাময়িকভাবে বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে বলে জানান ইউএনও রুহুল আমীন ।
তিনি আরও জানান, ইছাপুর বাজারে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনাকালে উক্ত প্রতিষ্ঠানটিতে গিয়ে দেখি প্রতি কেজিতে ক্রেতাদের কম দেওয়া হয় ১৭২ গ্রাম। প্যাকেট এর ওজন ৭৮ গ্রাম। টক দইয়ের ওজন ৮২৮ গ্রাম। রসমালাই এর ওজন ৯৩৮ গ্রাম। অথচ বিক্রি করার সময় সবমিলে ১ কেজি হয় না। তাই ক্রেতা ঠকানোর দায়ে ৫ হাজার টাকা জরিমানা করে দোকান মালিকের কাছ থেকে মুচলেকা নিয়ে দোকানটি সাময়িকভাবে বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।
উল্লেখ্য, ১৬ মে উৎপাদন ও মেয়াদের তারিখবিহীন পণ্য বিক্রির অপরাধে উক্ত প্রতিষ্ঠানের মালিকের কাছ থেকে ১০ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করা হয় এবং ১৫ কেজি দই ও রসমালাই জব্দ করে। পরে জব্দকৃত পণ্য ধ্বংস করে ভ্রাম্যমাণ আদালত।
জয়নিউজ/তালেব/বিশু