টানা কয়েক দিনের তীব্র গরমের পর শুক্রবার সন্ধ্যার পর থেকে বৃষ্টির সঙ্গে শুরু হয় মেঘের গর্জন। টানা কয়েক ঘণ্টা মুষলধারে বৃষ্টি নামায় কিছু সময়ের জন্য পানির নিচে তলিয়ে গেছে হাটহাজারী উপজেলার অধিকাংশ রাস্তা-ঘাট, মাঠ-ঘাট ও খাল-বিল।
এ সময় মাছ ধরার নেশা পেয়ে বসে স্থানীয়দের মধ্যে। তারা হাত জাল ও পলো নিয়ে নেমে পড়েন খালে-বিলে।
শনিবার (২৫ মে) সকালে শখের বসে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় ১নং রেল গেইটস্থ ফতেপুর ইউনিয়নের বখতিয়ার ফকির সংলগ্ন বিলে মাছ ধরতে গিয়েছিলেন একই এলাকার সহয্যাপাড়া এলাকার বাসিন্দা ফয়েজ আহম্মদের ছেলে মো. কামাল উদ্দিন। হঠাৎ তার হাতে আটকা পড়ে ২০ কেজির ওজনের এক বিশাল বোয়াল।
স্থানীয়রা জানান, কয়েক দিনের তীব্র গরম চলছে এলাকায়। এরমধ্যে শুক্রবার হঠাৎ বৃষ্টি ও বজ্রপাত শুরু হয়। বৃষ্টি থামার পরই এলাকাবাসী পরের দিন মাছ ধরার সরঞ্জাম নিয়ে তাদের বসত ঘরের পার্শ্বে হাঁটু-কোমর সমান পানিতে নেমে মাছ ধরা শুরু করেন।
ফতেপুর ইউনিয়নের বাসিন্দা কামাল উদ্দিন জানান, শখের বসে পলো নিয়ে মাছ ধরতে হাওরে যান তিনি। তার পলোতে একটি বিশাল বোয়াল আটকা পড়ে। ২০ কেজি ওজনের মাছটি বাড়িতে আনার পর আশপাশের লোকজন দেখতে ভিড় করেন। পরে মাছটি কেটে নিজেসহ আত্মীয়-স্বজন সবাই মিলে ভাগ করে নেন বলে তিনি জানান ।
হাটহাজারী উপজেলার দায়িত্বপ্রাপ্ত সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা মোহাম্মদ আজহারুল আলম জয়নিউজকে জানান, বর্তমান সময়টা মাছের প্রজনন মৌসুম। বৃষ্টি বা বজ্রপাত হলে মা মাছগুলো ডিম ছাড়ার জন্য খালে-বিলে স্রোতের বিপরীতে যেতে থাকে। এ সময় মাছগুলো আশপাশের ছোট খাল-বিলে আশ্রয় নেয়। আর এতেই মাছ ধরার সুযোগ বেড়ে যায়।
জয়নিউজ/তালেব/বিশু