মিয়ানমারে ভেসে আসা ‘ভূতুড়ে’ জাহাজটির রহস্য জানা গেছে।
ইন্দোনেশিয়ার পতাকাবাহী জাহাজটি সম্প্রতি বাংলাদেশের একটি জাহাজভাঙা শিল্প কোম্পানি কিনে নেয়। পরে একটি টাগবোটের সাহায্যে জাহাজটি চট্টগ্রাম উপকূলে নিয়ে আসার সময় বৈরী আবহাওয়ার কারণে টাগবোট থেকে বিচ্ছিন্ন করে দেওয়া হয়। খবর বিবিসির।
এর আগে মিয়ানমার টাইমসের খবরে জানানো হয়, চলতি সপ্তাহে বাণিজ্যিক রাজধানী ইয়াঙ্গুনের থংওয়ার উপকূলে ভেসে আসে ৫৮০ ফুট দৈর্ঘ্যরে জাহাজটি। মরচে ধরে জরাজীর্ণ ও কনটেইনারবাহী বিশাল এই জাহাজের নাম ‘স্যাম রাতুলাঙ্গি পিবি ১৬০০’। স্থানীয় জেলেরা উপকূল থেকে ১১ কিলোমিটার দূরে জাহাজটি ভাসতে দেখে। খবর পেয়ে বৃহস্পতিবার (৩০ আগস্ট) সেখানে যায় মিয়ানমার নৌবাহিনী। জাহাজটিতে উঠে তারা কোনো নাবিক বা পণ্য খুঁজে পায়নি।
মিয়ানমার নৌবাহিনী তাদের ফেসবুক পেজে জানিয়েছে, ‘ভূতুড়ে’ জাহাজটির সন্ধান পাওয়ার পর তারা মিয়ানমারের জলসীমার ৮০ কিলোমিটারের মধ্যে একটি টাগবোটের খোঁজ পায়। ‘ইন্ডিপেন্ডেন্স’ নামে ইন্দোনেশীয় ওই টাগবোটে ১৩ জন ক্রু ছিল। তারা মিয়ানমার বাহিনীকে জানায়, বাংলাদেশি একটি জাহাজভাঙা শিল্প কোম্পানির জন্য জাহাজটি চট্টগ্রাম টেনে আনছিলেন।
ইনডিপেনডেন্ট ফেডারেশন অব মিয়ানমার এর জেনারেল সেক্রেটারি অং কিও লিন জানান, জাহাজটি এখনো ব্যবহারের উপযোগী। পরিত্যক্ত জাহাজটি নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করেছেন তিনি।
বিশ্বজুড়ে জাহাজের গতিবিধি পর্যবেক্ষণকারী মেরিন ট্রাফিক ওয়েবসাইটে বলা হয়েছে, জাহাজটি ২০০১ সালে তৈরি। এএফপির খবরে জানানো হয়, মিয়ানমারে জাহাজটি চোখে পড়ার আগে সর্বশেষ রেকর্ড অনুয়ায়ী এটি ২০০৯ সালে তাইওয়ান উপকূলে ছিল।
জয়নিউজ/এডি