চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় (চবি) উপাচার্য প্রফেসর ড. ইফতেখার উদ্দিন চৌধুরীর মেয়াদ শেষ হচ্ছে চলতি বছরের ১৫ জুন। মেয়াদের শেষ মুহূর্তে বিশ্ববিদ্যালয়ের নিয়মনীতির তোয়াক্কা না করে চবিতে ১৪২ জন কর্মচারী নিয়োগ দিয়েছিলেন তিনি।
সেই কর্মচারী নিয়োগে বিশ্ববিদ্যালয়ের নিয়োগ কমিটির দুর্নীতি ও অনিয়ম তদন্তে দুই সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করেছে দুদক।
দুদক সমন্বিত জেলা কার্যালয়-২ এর উপ-পরিচালক মুহা. মাহবুবুল আলমকে প্রধান করে তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। এতে উপ-সহকারী পরিচালক মো. রিয়াজ উদ্দিনকে সদস্য করা হয়। দুদকের বিভাগীয় পরিচালক মো. আবদুল করিম এ কমিটির তদারকির দায়িত্বে থাকবেন।
মঙ্গলবার (২১ মে) এ সংক্রান্ত একটি চিঠি ইস্যু করে দুদকের বিভাগীয় পরিচালক মো. আবদুল করিম।
দুদক সূত্র জানায়, সম্প্রতি চবিতে তৃতীয় ও চতুর্থ শ্রেণির ১৪২ জন কর্মচারী নিয়োগে দুর্নীতি, অনিয়ম ও স্বজনপ্রীতির অভিযোগে বিভিন্ন গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশিত হয়। গত বছরের ১৭ ডিসেম্বর বিশ্ববিদ্যালয়ের ৫১৯ তম সিন্ডিকেট সভায় এ নিয়োগ চূড়ান্ত হলেও সিন্ডিকেট সভায় নিয়োগপ্রাপ্তদের নাম উপস্থাপন করা হয়নি।
এ বিষয়ে কমিটির প্রধান ও জেলা কার্যালয়-২ এর উপ-পরিচালক মুহা. মাহবুবুল আলম বলেন, চবিতে তৃতীয় ও চতুর্থ শ্রেণির ১৪২ জন কর্মচারী নিয়োগে বিভিন্ন গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশিত হয়। এর প্রেক্ষিতে দুদক একটি কমিটি গঠন করেছে। এ অনিয়ম তদন্তে কাজ করছে দুদক।