অতীতের মতোই মিথ্যা ও ভুয়া তথ্যের ওপর ভিত্তি করে উত্তর কোরিয়ার মানবাধিকার পরিস্থিতি সম্পর্কে জাতিসংঘের প্রতিবেদন সাজানো হয়েছে।
এ প্রতিবেদন একতরফা ও রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত বলে মঙ্গলবার (২৮ মে) এক বিবৃতিতে প্রত্যাখ্যান করেছে পিয়ংইয়ং।
বিবৃতিতে বলা হয়েছে, উত্তর কোরিয়ার জনগণের জীবন যদি কঠিন হয়ে উঠে থাকে তাহলে তা ২০০৬ সাল থেকে জাতিসংঘের পক্ষ থেকে আরোপিত নিষেধাজ্ঞার কারণে হয়েছে। উত্তর কোরিয়ার পরমাণু অস্ত্র ও ক্ষেপণাস্ত্র কর্মসূচিকে কেন্দ্র করে জাতিসংঘের পক্ষ থেকে ওই নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়।
জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক দপ্তর সম্প্রতি এক প্রতিবেদন প্রকাশ করে বলেছে, উত্তর কোরিয়ার মানবাধিকার পরিস্থিতি শোচনীয় আকার ধারণ করেছে, দেশটি দুর্নীতিতে ছেয়ে গেছে এবং সামরিক বাহিনীর জন্য সবচেয়ে বড় বাজেট নির্ধারণ করা হচ্ছে।
দুর্নীতির কারণে উত্তর কোরিয়ার একশ্রেণির মানুষ আঙুল ফুলে কলাগাছ হলেও সাধারণ মানুষ অতি কষ্টে জীবনযাপন করছে বলে জাতিসংঘের ওই প্রতিবেদনে বলা হয়েছে।
কিন্তু পিয়ংইয়ং এ দাবি প্রত্যাখ্যান করে বলেছে, আন্তর্জাতিকভাবে অর্থনৈতিক চাপের মুখে না থাকলে উত্তর কোরিয়ার কোনো মানুষকেই অর্থনৈতিকভাবে কষ্ট করতে হতো না।