গত ঈদের মতো এবারের ঈদেও তালেবান ও আফগান সরকারের মধ্যে সংঘর্ষ বিরতির সম্ভাবনা খুবই কম।
আফগান সংবাদ মাধ্যম জানাচ্ছে, দেশের প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট হামিদ কারজাই ও তালেবানদের ১৪ সদস্যের প্রতিনিধিদের মধ্যে বৈঠক হয় রাশিয়ার রাজধানী মস্কোতে। এই বৈঠকে সংঘর্ষ বিরতির প্রস্তাব খারিজ হয়েছে। এই বৈঠক ঘিরে আন্তর্জাতিক কূটনৈতিক মহল বিভিন্ন পর্যালোচনা করছে। বৈঠকে বর্তমান সরকারের কোনো প্রতিনিধি ছিলেন না। তালেবান জানায়, কোনো আলোচনাতেই তারা আফগান সরকারের প্রতিনিধিদের মেনে নেবে না। কারণ তারা আফগানিস্তানের বর্তমান সরকারকে বৈধ বলে স্বীকার করে না। তাদের সঙ্গে বৈঠকে ছিলেন দেশটির সাবেক প্রেসিডেন্ট হামিদ কারজাই।
১৯৯৬ সাল থেকে ২০০১ সাল পর্যন্ত আফগানিস্তানে সরকারে ছিল তালেবান৷ আমেরিকার নেতৃত্বে বিরাট সামরিক অভিযানের পর তাদের সরকার থেকে উৎখাত করা হয়৷ পুনরায় বিরাট শক্তি সঞ্চয় করে আফগানিস্তানের দখল নিতে মরিয়া তালেবান।
রুশ সংবাদ সংস্থা তাস জানিয়েছে, বৈঠক শেষে তালেবান প্রতিনিধি প্রধান মোল্লা বারাদার জানিয়েছেন, তালেবান শুধুমাত্র তখনই কোনো শান্তি চুক্তিতে সই করবে, যখন বিদেশি সেনা আফগানিস্তান ছাড়বে। তালেবান শান্তি চায়, কিন্তু সবার আগে শান্তির পথের বাধা দূর করতে হবে। এই বাধাটা হচ্ছে আফগানিস্তানে দখলদারিত্ব। বিবিসি, আলজাজিরা ও বিভিন্ন আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমের রিপোর্ট, আফগানিস্তানে বর্তমানে ২৩ হাজার বিদেশি সেনা রয়েছে। এদের বেশিরভাগই আমেরিকান।
আফগানিস্তানে শান্তি ফেরাতে বারবার তালেবানের সঙ্গে বৈঠক হচ্ছে। কাতার, সংযুক্ত আরব আমিরাত ও রাশিয়ায় এই বৈঠক হয়েছে ৷ বৈঠকগুলিতে তালেবানের পক্ষ থেকে বিভিন্ন পদক্ষেপের কথা তুলে ধরা হয়। এরমধ্যে রয়েছে আফগান নারীদের বিষয়ে তাদের দৃষ্টিভঙ্গি ও দেশের সংবিধান পরিবর্তনের মতো বিষযয়। তালেবানের যুক্তি- নতুন সংবিধান ইসলামি বিশেষজ্ঞরা প্রণয়ন করবেন।
জয়নিউজ/আরসি