আর মাত্র কয়েকদিন পর পবিত্র ঈদুল ফিতর। ঈদে মাংসের চাহিদা বেশি থাকায় বেড়েছে মাংসের দাম।
একইসঙ্গে বেড়েছে লেয়ার, কক ও দেশি মুরগির দাম। দাম বেড়েছে কেজিতে ২০ টাকা পর্যন্ত। মুরগির মাংসের দাম বাড়লেও গরু ও খাসির মাংসের দাম অপরিবর্তিত রয়েছে। তবে কমেছে সবজি ও মাছের দাম।
শুক্রবার (৩১ মে) রেয়াজউদ্দিন বাজার, কাজির দেউড়ি, চকবাজারসহ বেশ কয়েকটি বাজার ঘুরে ক্রেতা-বিক্রেতাদের সঙ্গে কথা বলে এসব তথ্য পাওয়া গেছে।
বিভিন্ন বাজার ঘুরে দেখা যায়, ব্রয়লার মুরগি কেজি প্রতি বিক্রি হচ্ছে ১৫০ টাকায়, যা গত সপ্তাহে ছিল ১৩০ থেকে ১৪০ টাকা। লেয়ার মুরগি২২৫ থেকে ২৩০ টাকায়, কক মুরগি ১৯০ টাকায়, দেশি মুরগি ৩৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
এদিকে গরুর মাংস বাজারভেদে বিক্রি হচ্ছে ৫২৫ টাকায়, খাসির মাংস বিক্রি হচ্ছে ৭৫০ থেকে ৮৫০ টাকা কেজিতে।
মুরগি ব্যবসায়ীরা বলেন, বাড়তি দামে কেনার কারণে বেশি দামে বিক্রি করতে হচ্ছে মুরগি। তবে ঈদের পর দাম আবার কমে যাবে। মূলত ঈদে চাহিদা বেশি থাকায় এই দাম বৃদ্ধি।
বিভিন্ন কাঁচাবাজার ঘুরে দেখা গেছে, বাজারগুলোতে কমেছে সবজির দাম। প্রতি কেজি বেগুন ৬০ টাকায়, কচুরলতি ৪০ টাকায়, করলা ৪০ টাকায়, পটল ৩০ টাকায়, বরবটি ৪০ টাকায়, কাকরোল ৪০ টাকায়, ধুনদুল ৪০ টাকায়, ঝিঙা ২০ টাকায়, চিচিঙ্গা ৩৫ টাকায়, পেঁপে ৪০ টাকায়, শশা ৩০ টাকায়, গাজর ৩০ টাকায়, টমেটো ৩০ টাকায়, লেবু (হালি) ২০ টাকায়, কাঁচা মরিচ ৪০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
এছাড়া প্রতি আঁটি লাউশাক ২০ টাকায়, লালশাক ১৫ টাকায়, পালংশাক ২০ টাকায়, পুঁইশাক ২০ টাকায় ও ডাঁটা শাক ২৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
অপরিবর্তিত রয়েছে বিভিন্ন মাছের দাম। রুই ৩৫০ টাকায়, কাতলা ৪০০ টাকায়, তেলাপিয়া ২০০ টাকায়, গলদা চিংড়ি ৮০০ টাকায়, পুঁটি ২৫০ টাকায়, পোয়া ৬০০ টাকায়, পাবদা ৬০০ টাকায়, বোয়াল ৬০০ টাকায়, শিং ৮০০ টাকায়, দেশি মাগুর ৬০০ টাকায়, কৈ ২৫০ টাকায়, ইলিশ ১২০০ টাকায় কেজিতে বিক্রি হচ্ছে।
জয়নিউজ/আরসি