শুক্রবার সরকারি ছুটির দিনেও দূরপাল্লার বাস কাউন্টারগুলোতে অভিযান পরিচালনা করেছেন চট্টগ্রাম বিআরটিএ’র নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট এস এম মনজুরুল হক।
ঈদ উপলক্ষে বাড়তি ভাড়া নেওয়ার অভিযোগ পেয়ে এদিন (৩১ মে) আকস্মিক এ অভিযান পরিচালনা করা হয়।
বিকেলে ম্যাজিস্ট্রেট মনজুরুল হকের নিকট খবর আসে এ কে খান এলাকার দূরপাল্লার বাস কাউন্টারগুলোতে যাত্রীদের কাছ থেকে অতিরিক্ত ভাড়া নেওয়া হচ্ছে। খবর পেয়েই তিনি দ্রুত ছুটে যান এ কে খান এলাকায়।
উল্লেখ্য, গত সপ্তাহেও তিনি এ এলাকার দূরপাল্লার বাস কাউন্টারগুলোতে অভিযান পরিচালনা করে বেশ কয়েকটি পরিবহনকে বড়ধরনের জরিমানা করেছিলেন। এরপরেও উক্ত স্থানের কাউন্টারগুলোতে বাড়তি ভাড়ার খবর পেয়ে তিনি কিছুটা বিস্ময় প্রকাশ করেন।
তিনি লক্ষীপুরগামী শাহী সার্ভিসের কাউন্টারে গিয়ে দেখতে পান সেখানে লক্ষ্মীপুরের টিকিটের দাম রাখা হচ্ছে ৫০০ টাকা যেখানে উক্ত গন্তব্যের নিয়মিত ভাড়া হচ্ছে ৩৩০ টাকা। একইভাবে পাশের জোনাকী সার্ভিসও লক্ষ্মীপুরের টিকিটের দাম রাখছে ৫০০ টাকা। হাতেনাতে বাড়তি ভাড়ার প্রমাণ পেয়ে তিনি ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে শাহী সার্ভিস ও জোনাকী সার্ভিস প্রত্যেককে ২৫ হাজার টাকা করে জরিমানা করেন। এরপর তিনি অভিযান চালান একই এলাকার কুষ্টিয়া-ঝিনাইদহগামী মামুন এন্টারপ্রাইজ নামক বাস কাউন্টারে। কুষ্টিয়ার স্বাভাবিক ভাড়া যেখানে ৭৫০ টাকা সেখানে এ কাউন্টারে টিকিটের দাম রাখা হচ্ছে ১ হাজার ২০০ টাকা।
বাড়তি ভাড়ার বিষয়ে জিজ্ঞাসা করলে কাউন্টার ম্যানেজার বলেন, তারা ঈদ উপলক্ষে এ বাড়তি ভাড়া নিচ্ছেন। ফলে মামুন এন্টারপ্রাইজকেও ২০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।
আকস্মিক অভিযানে এ তিনটি বাস কাউন্টারকে মোট ৭০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।
এবিষয়ে ম্যাজিস্ট্রেট এস এম মনজুরুল হক জয়নিউজকে বলেন, ঈদ উপলক্ষে যাত্রীদের কাছ থেকে বাড়তি ভাড়া নেওয়া বন্ধ করতে হবে। অভিযোগ পাওয়া গেলে যেকোনো সময় যেকোনো পরিবহনের বিরুদ্ধে অভিযান পরিচালনা করা হবে।
তিনি আরও বলেন, ঈদের আগের রাত পর্যন্ত নিরবচ্ছিন্নভাবে অভিযান চলবে।