বাস্তুচ্যুত রোহিঙ্গারা যেন মিয়ানমারে তাদের অধিকার নিয়ে বসবাস করতে পারে, তা নিশ্চিত করতে ওআইসিভুক্ত দেশগুলোতে এগিয়ে আসার আহ্বান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। অর্থনীতি, নিরাপত্তা ও বাস্তুতন্ত্র নিয়ে বর্তমান বিশ্ব যে চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করছে, তা মোকাবিলায় ওআইসিকে একটি কৌশল গড়ে তোলারও আহ্বান জানান তিনি।
শনিবার (১ জুন) ভোরে সৌদি আরবের মক্কার সাফা প্যালেসে ইসলামী দেশগুলোর জোট ওআইসির চতুর্দশ সম্মেলনে ভাষণ দানকালে শেখ হাসিনা এ আহ্বান জানান।
ওআইসির ৫৭টি সদস্যরাষ্ট্রের বাদশাহ, রাষ্ট্র ও সরকার প্রধান এবং প্রতিনিধিরা সম্মেলনে অংশ নিচ্ছেন।
শুক্রবার (৩১ মে) রাতে শুরু হওয়া এই সম্মেলনস্থলে পৌঁছালে বাদশাহ সালমান বিন আবদুল আজিজ শেখ হাসিনাকে স্বাগত জানান। সম্মেলনে ওআইসির এশিয়া গ্রুপের প্রতিনিধি হিসেবে দেওয়া ভাষণে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী রোহিঙ্গা শরণার্থীদের মিয়ানমারে নিপীড়িত হওয়া এবং তাদের বাংলাদেশে আশ্রয় দেওয়ার বিষয়টি তুলে ধরেন।
শেখ হাসিনা বলেন, সম্পদের সীমাবদ্ধতা সত্ত্বেও মিয়ানমার থেকে বাস্তুচ্যুত ১১ লাখেরও বেশি রোহিঙ্গা মুসলমানকে আশ্রয় দিয়েছে বাংলাদেশ। কিন্তু মিয়ানমার রাখাইন অঞ্চলে একটি সহায়ক পরিবেশ তৈরির প্রতিশ্রুতি মেনে চলতে ব্যর্থ হওয়ায় রোহিঙ্গাদের সম্মানের সঙ্গে প্রত্যাবর্তন এখনও অনিশ্চিত।
সন্ত্রাস-জঙ্গিবাদের প্রতি বাংলাদেশের ‘জিরো টলারেন্স’ নীতি ঘোষণার বিষয়টি উল্লেখ করে তা মোকাবেলায় ওআইসির সক্রিয়তা প্রত্যাশা করেন শেখ হাসিনা।
রিয়াদ সম্মেলনে নিজের দেওয়া চারটি প্রস্তাব মক্কা সম্মেলনেও তুলে ধরেন তিনি।এগুলো হল অস্ত্র সরবরাহ বন্ধ করা, সন্ত্রাসে অর্থায়ন বন্ধ করা, মুসলিম উম্মাহর মধ্যে ভেদাভেদ নিরসন ও সংলাপের মাধ্যমে দ্বন্দ্ব-সংঘাতের শান্তিপূর্ণ সমাধান।
ওআইসি যে লক্ষ্য নিয়ে গঠিত হয়েছিল, তা পূরণ না হওয়ার কথাও সম্মেলনে তুলে আনেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী।
ওআইসির চতুর্দশ সম্মেলনে যোগ দিতে শুক্রবার (৩১ মে) বিকালে জাপান থেকে সৌদি আরবে পৌঁছান শেখ হাসিনা।
জয়নিউজ/আরসি