কক্সবাজারের পেকুয়া উপজেলায় আশ্রয়ণ প্রকল্পের মাটি ভরাটকাজে ব্যাপক অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ পাওয়া গেছে। নয়ছয় করে প্রকল্প বাস্তবায়ন করে বরাদ্দের সিংহভাগ লুটের আশঙ্কা করছে স্থানীয়রা।
জানা যায়, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের আশ্রয়ণ-২ প্রকল্পের অধীনে পেকুয়া উপজেলার রাজাখালী ইউনিয়নে আশ্রায়ণ প্রকল্পের মাটি ভরাটকাজ বাস্তবায়নে ২০১৮ সালের ১২ সেপ্টেম্বর ৭৭.২৩৬ মেট্রিক টন গম বরাদ্দ দেওয়া হয়। পরে উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তার কার্যালয় রাজাখালী ইউনিয়ন পরিষদের ১ নং ওয়ার্ডের সদস্য বিএনপি নেতা অলি আহমদকে ওই মাটি ভরাটকাজ বাস্তবায়নে প্রকল্প সভাপতি করা হয়। ওই কাজ ২০১৮ সালের ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে বাস্তবায়নের জন্য প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের নির্দেশনা ছিল। কিন্তু প্রকল্প বাস্তবায়ন কমিটি নির্দেশনা অমান্য করে প্রকল্পের মাটি ভরাটের কাজ গত সপ্তাহে শুরু করে।
সরেজমিনে দেখা গেছে, রাজাখালী ইউনিয়নের ভোলা খালের চরে আশ্রয়ণ প্রকল্পের মাটিভরাট করা হচ্ছে। কাবিখা প্রকল্পের নীতিমালা অনুসরণ না করে স্কেভেটর দিয়ে মাটি ভরাট করা হচ্ছে। ৭৭ মেট্রিক টন গমের বর্তমান বাজারমূল্য ১৭ লাখ ৩২ হাজার ৫০০ টাকা। স্কেভেটর দিয়ে ৫/৬ লাখ টাকায় মাটি ভরাট করে বরাদ্দের সিংহভাগ লুটের অপচেষ্টা চালাচ্ছে সংশ্লিষ্ট কমিটি।
স্থানীয়দের অভিযোগ, প্রকল্প কমিটির সভাপতি ইউপি সদস্য অলি আহমদ প্রকল্পের কাজে নয়ছয় করে অনিয়মের আশ্রয় নিয়ে বরাদ্দ লুটপাটের চেষ্টা করছেন।
অভিযোগের ব্যাপারে জানতে ইউপি সদস্যের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, তাকে প্রকল্প সভাপতি করা হয়েছে। স্কেভেটর দিয়ে তিনি মাটি কাটার কথা স্বীকার করেছেন। এর বাইরে তিনি আর কথা বলতে রাজি হননি।
উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা সৌভ্রাত দাশ জানান, তিনি প্রকল্প পরিদর্শনে যাবেন। অনিয়ম হলে ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন।
জয়নিউজ/আরসি