‘অন্যের হাসির কারণ’ হয়ে উঠতে চায় ইডিইউভিয়ান তথা ইস্ট ডেল্টা ইউনিভার্সিটির (ইডিইউ) শিক্ষার্থীরা। সে লক্ষ্যে সমাজের শতাধিক সুবিধাবঞ্চিত শিশুর সঙ্গে তারা ভাগাভাগি করেছেন ঈদের খুশি। তাদের হাতে ঈদবস্ত্র, খাদ্য ও শিক্ষাসামগ্রী তুলে দেয় ইস্ট ডেল্টা ইউনিভার্সিটি সোশ্যাল সার্ভিস ক্লাব।
এ উপলক্ষে রোববার (২ জুন) বিকেলে নগরের সিআরবিতে এক আয়োজন করা হয়। যে আয়োজনে স্থানীয় শিশু ও দুস্থদের জন্য পরিচালিত ‘বর্ণের ইশকুল’ নামের স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের শিক্ষার্থীদের মাঝে ঈদবস্ত্র, খাদ্য ও শিক্ষাসামগ্রী বিতরণ করা হয়।
এর আগে ‘এই ঈদে হয়ে ওঠো অন্যের হাসির কারণ’ স্লোগানে দুস্থ শিশুদের মাঝে ঈদবস্ত্রসহ অন্যান্য সামগ্রী বিতরণের লক্ষ্যে অর্থ সংগ্রহ করে ক্লাবের সদস্যরা। এতে সহায়তা করেন বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন, ফ্যাকাল্টি মেম্বার, কর্মকর্তা এবং ইডিইউভিয়ান তথা শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে।
অনুষ্ঠানে ইডিইউর সহকারী অধ্যাপক ফাহমিদা আক্তার বলেন, প্রত্যেকেরই সমাজের প্রতি দায় রয়েছে। সমাজের সুবিধাবঞ্চিত মানুষের পাশে দাঁড়ানো একজন মানুষ হিসেবে আমাদের দায়িত্ব। এ দায়বোধ থেকে সমাজসেবামূলক কাজে নিজেদের নিয়োজিত করতে ইস্ট ডেল্টা ইউনিভার্সিটির শিক্ষার্থীরা সোশ্যাল সার্ভিস ক্লাব করছে। এর মাধ্যমে তাদের মধ্যে অন্যের সহযোগিতায় এগিয়ে যাওয়ার যে অভ্যাস তৈরি হচ্ছে, তা তারা পরবর্তী জীবনেও কাজে লাগাবে।
ইডিইউর প্রতিষ্ঠাতা ভাইস চেয়ারম্যান সাঈদ আল নোমান বলেন, ঈদের আনন্দ সবাই সমানভাবে উপভোগ করতে পারে না। সামাজিক, অর্থনৈতিক, ব্যক্তিগত- নানা সীমাবদ্ধতা থাকে মানুষের। তাই ঈদকে সবার মাঝে সমানভাবে আনন্দময় করতে তুলতে ইস্ট ডেল্টা ইউনিভার্সিটি সোশ্যাল সার্ভিস ক্লাবের এ উদ্যোগ।
তিনি আরো বলেন, যারা অন্যের জন্য কাজ করে, অন্যের মুখে হাসি ফোটাতে কাজ করে, তারাই মানুষ হিসেবে সার্থক। আমরা গর্বভরে বলতে পারি ইস্ট ডেল্টা ইউনিভার্সিটি প্রকৃত মানুষে পূর্ণ। আমরা আমাদের শিক্ষার্থীদের প্রকৃত মানুষ হিসেবে গড়ে তুলছি।
অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন ইডিইউ সোশ্যাল সার্ভিস ক্লাবের ফ্যাকাল্টি অ্যাডভাইজর সহকারী অধ্যাপক ফাহমিদা আক্তার, জনসংযোগ কর্মকর্তা তানভীর জাকারিয়া চৌধুরী, ক্লাব কনভেনার প্রশান্ত ভৌমিক, ক্লাবের সদস্য দীপ্ত বিশ্বাস, আবদুল্লাহ আল কায়সার, সাদমান উল্লাহ মাহিন, ওমর খালেদ, আদিত্য পাল, আকাশ বড়ুয়া, সূর্য সেন ও আগা জিশান।