প্রতিবারের মতো সৌদি আরবের সঙ্গে মিল রেখে দক্ষিণ চট্টগ্রামের কয়েকটি উপজেলার বিভিন্ন গ্রামে মঙ্গলবার (৪ জুন) উৎসবমুখর পরিবেশে উদযাপিত হচ্ছে পবিত্র ঈদুল ফিতর।
জানা গেছে, চার মাযহাবের সমন্বিত ‘আল ফিকাহ আলা মাযাহিবিল আরবায়া’ নামক গ্রন্থের ভাষ্যমতে পৃথিবীর যে কোনো প্রান্তে চাঁদ দেখা যাওয়ার খবর পাওয়া গেলে সকল স্থানেই উক্ত চাঁদ দেখা সাপেক্ষে পবিত্র ঈদ উদযাপিত হবে।
মঙ্গলবার (৪ জুন) ঈদের সবচেয়ে বড় জামাত অনুষ্ঠিত হয় সাতকানিয়ার মীর্জারখীল জাহাঙ্গীর পীরের দরবার শরিফে। দরবারের সাজ্জাদানশীন মাওলানা আবদুল হামিদ শাহ’র ইমামতিতে ঈদুল ফিতরের প্রথম জামাত সকাল ৯টায় অনুষ্ঠিত হয়। চন্দনাইশের জাহাঁগিরিয়া মমতাজিয়া দরবারে ঈদুল ফিতরের প্রধান জামাত অনুষ্ঠিত হয়।
ঈদের নামাজ শেষে মহান আল্লাহর কাছে দেশ ও মুসলিম উম্মাহর শান্তি ও সমৃদ্ধি কামনা করে মুনাজাত করেন ধর্মপ্রাণ মুসলিমরা।
দক্ষিণ চট্টগ্রামে এবার যেসব গ্রামে ঈদুল ফিতর উদযাপিত হচ্ছে তার মধ্যে রয়েছে সাতকানিয়া উপজেলার মীর্জারখীল, চরতি, সুইপুর, গাটিয়াডাঙ্গা ও কেরাণীহাট।
পটিয়া ঈদ উদযাপিত হয়েছে উপজেলার কালারপোল, হাইদগাঁও, মল্লপাড়া ও বাহুলী, চন্দনাইশের কাঞ্চননগর, গাছবাড়িয়া, হারালা, বাইনজুড়ী, কানাইমাদারি ও ঢেমশা, আনোয়ারার তৈলারদ্বীপ, বরুমছড়া, বারখাইন, সরকারহাট, গহিরা ও বারশতে।
এছাড়া বোয়ালখালী উপজেলার চরণদ্বীপ, খরণদ্বীপ, পূর্ব গোমদণ্ডী ও পশ্চিম কধুরখীল, বাঁশখালী উপজেলার কালীপুর, চাম্বল, শেখেরখীল, পুঁইছড়ি ও ডোমার এবং লোহাগাড়ার ধর্মপুর ও কলাউজানে আজ ঈদ উদযাপিত হয়।
আমাদের সাতকানিয়া ও চন্দনাইশ প্রতিনিধিরা জানান, উৎসবমুখর পরিবেশে উপজেলার বিভিন্ন গ্রামে ঈদ উদযাপিত হচ্ছে। সকাল থেকে মুসল্লিরা দলে দলে ঈদজামাতে অংশ নেয়। পরে তারা একে অপরের সঙ্গে ঈদের শুভেচ্ছা বিনিময় করে।
জয়নিউজ/পলাশ