তাকে বদলির আদেশে দেওয়া প্রজ্ঞাপনে উত্তপ্ত হয়ে উঠেছিল সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম। সারা দেশের মানুষের তীব্র ক্ষোভের মুখে একদিনের ব্যবধানে প্রত্যাহার করে নেওয়া হয়েছে সেই বদলির আদেশ।
কিন্তু যাকে নিয়ে এত আলোচনা, সেই মঞ্জুর মোহাম্মদ শাহরিয়ার বলছেন, আড়ংকে জরিমানার সঙ্গে তাকে বদলির কোনো সম্পর্ক নেই!
জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের ঢাকা বিভাগীয় কার্যালয়ের এই উপ-পরিচালকের বক্তব্য, সরকারি চাকরির স্বাভাবিক নিয়মেই তিনি বদলি হয়েছিলেন।
মঙ্গলবার (৪ জুন) বিকেলে সংবাদমাধ্যমের সঙ্গে আলাপকালে মঞ্জুর মোহাম্মদ শাহরিয়ার বলেন, আমি প্রজাতন্ত্রের একজন কর্মচারী। সরকারি চাকরির স্বাভাবিক নিয়মেই আমাকে বদলি করা হয়েছিল।
তিনি বলেন, সরকারি চাকরিজীবী হিসেবে দেশের যেখানেই আমাকে দায়িত্ব দেওয়া হোক না কেন, আমি সেখানে খুশিমনে কাজ করব।
প্রধানমন্ত্রীর প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়ে উপ-সচিব পদমর্যাদার এই কর্মকর্তা বলেন, আমি প্রধানমন্ত্রীর অধীন একজন কর্মচারী হিসেবে তার প্রতি সবিনয় কৃতজ্ঞতা জানাই। তিনি আমাদের সমৃদ্ধ বাংলাদেশের স্বপ্ন দেখিয়েছেন। এদেশের মানুষ এখন মনে করে যে, আমরা উন্নতির দিকে এগিয়ে যাচ্ছি।
এদিকে প্রায় একই কথা বলেছেন জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সচিব ফয়েজ আহমেদ। তিনি সংবাদমাধ্যমকে বলেন, আড়ংয়ের উত্তরা শাখাকে জরিমানার সঙ্গে মঞ্জুর মোহাম্মদ শাহরিয়ারের বদলির কোনো সম্পর্ক ছিল না। এরপরও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের নেতিবাচক ধারণা দূর করতে শাহরিয়ারের বদলির আদেশ বাতিল করা হয়েছে।