তাঁদের কেউ আওয়ামী লীগ নেতা, কেউ বিএনপির। রাজনীতির মাঠে তাঁরা প্রবল প্রতিদ্বন্দ্বী। তবে ঈদের দিনের চিত্রটা একেবারে ভিন্ন।
নগরের জমিয়াতুল ফালাহ জাতীয় মসজিদ ময়দানে বুধবার (৫ জুন) সকাল ৮টায় ঈদের প্রধান জামাত অনুষ্ঠিত হয়। এতে অংশ নেন মন্ত্রী, উপমন্ত্রী, মেয়রসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতারা। নামাজের পরপরই তাঁরা একে অপরের সঙ্গে কোলাকুলি ও কুশলবিনিময়ে মেতে উঠেন। ঈদানন্দের কাছে যেন সব দূরত্বই তুচ্ছ।
নামাজ শেষেই নগরপিতা আ জ ম নাছির উদ্দিনের দিকে এগিয়ে যান শিক্ষা উপমন্ত্রী ব্যারিস্টার মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল। তাঁরা এক অপরের সঙ্গে কোলাকুলি করেন। এছাড়াও শিক্ষা উপ-মন্ত্রী নওফেল বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ও সাবেক প্রতিমন্ত্রী মীর মোহাম্মদ নাছির উদ্দিন, জাতীয় পার্টির নেতা ও সাবেক মেয়র মাহমুদুল ইসলাম ও নগর বিএনপির সভাপতি ডা. শাহাদাত হোসেনের সঙ্গে কোলাকুলি করে কুশলবিনিময় করেন।
এদিকে নগরপিতা নাছির সাবেক প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রী নুরুল ইসলাম বিএসসির দিকে এগিয়ে যান এবং কোলাকুলি। এ সময় দু’জনে কুশলবিনিময় করেন। এরপর মেয়র কোলাকুলি করেন নগর বিএনপি সভাপতি ডা. শাহাদাত হোসেনের সঙ্গে। এ সময় মেয়র পরিচ্ছন্ন নগর নির্মাণে সবাইকে একসঙ্গে কাজ করার আহ্বান জানান।
নগরপিতা বলেন, নিশ্চিদ্র নিরাপত্তার মধ্যদিয়ে চট্টগ্রামে ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হয়েছে। মহান আল্লাহর কাছে আমরা প্রার্থনা করেছি যাতে নগরবাসী সুন্দর ও স্বাচ্ছন্দ্যভাবে ঈদ উদ্যাপন করতে পারে।
শিক্ষা উপমন্ত্রী ব্যারিস্টার মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল বলেন, সারাদেশের মানুষ নির্বিঘ্নে ঈদ উদ্যাপন করছে। বঙ্গবন্ধুকন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গত নির্বাচনে যে ইশতেহার দিয়েছেন সেটি বাস্তবায়নে আমরা বদ্ধ পরিকর। নানামুখী উন্নয়নে বাংলাদেশ এগিয়ে যাচ্ছে। সামনে আরো এগিয়ে যাবে।
জমিয়তুল ফালাহ ময়দানে ঈদের জামাতে ছিলেন জাতীয় পার্টির চট্টগ্রাম মহানগর সভাপতি সোলায়মান আলম শেঠ, দক্ষিণ জেলা বিএনপির সভাপতি সাবেক মন্ত্রী জাফরুল ইসলাম, দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি মোসলেম উদ্দিনসহ আওয়ামী লীগ, বিএনপি, জাতীয় পার্টির সিনিয়র নেতারা। ঈদের নামাজ শেষে তাঁরা সবাই একে অপারের সঙ্গে কোলাকুলি করেন। একইসঙ্গে তাঁরা পরষ্পরকে ঈদের শুভেচ্ছা জানান।