সকাল থেকেই আকাশ ছিল মেঘলা। কয়েকদফা বৃষ্টিও হানা দিয়েছে নগরে। ‘ওগো, আজ তোরা যাস নে ঘরের বাহিরে’ রবীন্দ্রনাথের কবিতার মত করে মন বললেও সেই সুযোগ নেই। ঈদের লম্বা ছুটি শেষ হয়েছে, খুলেছে সরকারি-বেসরকারি অফিস ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠান।
ফিরে এসেছে নয়টা-পাঁচটা অফিসের সেই চক্র। তবে কর্মদিবসের প্রথম দিনে অফিসগুলায় ছিল ঈদ আলস্য। ছুটি শেষে অফিসে ফিরলেও, ছুটির রেশ যেন কাটতেই চায় না।
নগরের সরকারি-বেসরকারি অফিস ঘুরে দেখা গেছে, প্রায় কর্মচারী-কর্মকর্তারা অফিসে এসেছেন। সরকারি অফিসগুলোয় কিছুটা ঢিলেমি দেখা গেলেও, ব্যাংকপাড়া ছিল বেশ কর্মব্যস্ত।
ডাচ বাংলা ব্যাংকের মুরাদপুর শাখায় গিয়ে দেখা গেল, ছুটি শেষে অফিসে আসা সকলে আলিঙ্গনাবদ্ধ হচ্ছেন একে-অপরের সঙ্গে।
ব্যাংকের ম্যানেজার মাহমুদুর রহমান জয়নিউজকে বলেন, অফিসে এখনো ঈদ আনন্দ থাকলেও, আমাদের শতভাগ উপস্থিতি আছে। গ্রাহকরাও আসতে শুরু করেছেন।
শুরু হয়েছে চট্টগ্রাম চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাস্ট্রির কার্যক্রম।
নগরের ওয়ার্ল্ড ট্রেড সেন্টারে সকাল থেকেই আসা শুরু করেন কর্মকর্তারা। চেম্বারের সেক্রেটারি ইনচার্জ ইঞ্জিনিয়ার ফারুক জয়নিউজকে বলেন, রাউজানে পরিবারের সঙ্গে ঈদ পালন শেষে আজ অফিসে এসেছি। সবাই কোলাকুলি করে ঈদ আনন্দ ভাগাভাগি করে নিচ্ছি। আমাদের অফিসের ৯৫ ভাগ কর্মকর্তা-কর্মচারী কাজে যোগ দিয়েছেন।
চট্টগ্রাম শিক্ষা বোর্ডেও ছিল ছুটি কাটিয়ে অফিসে আসা কর্মকর্তা-কর্মচারীদের ব্যস্ততা। পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক মাহবুব হোসেন জয়নিউজকে বলেন, সকাল নয়টার মধ্যেই বেশিরভাগ কর্মকর্তা-কর্মচারী অফিসে এসেছেন। এখনো যারা জয়েন করেননি তারা ছুটিতে আছেন। এইচএসসি পরীক্ষার রেজাল্ট তৈরিতে তারা ব্যস্ত থাকবেন বলেও জানান এ কর্মকর্তা।
চট্টগ্রাম মেডিকেলের চিত্রও ছিল একই। রোগীর ভিড় ছিল বেশ। ডাক্তারদেরও দেখা গেছে সেবা দিতে।
ভিড় ছিল বিভিন্ন রাস্তার মোড়গুলোতে। অফিসের জন্য গাড়ির অপেক্ষায় ছিলেন সবাই।
ঈদের ছুটি ছিল না আবহাওয়া অফিসে। রোস্টারিং পদ্ধতিতে কাজ করেছেন এখানকার কর্মকর্তারা। ২৪ ঘণ্টার আবহাওয়ার খবরাখবর জানানোয় তারা ছিলেন ব্যস্ত।
সহকারী আবহাওয়াবিদ উজ্জ্বল কান্তি জয়নিউজকে বলেন, সতর্কতা সংকেত নামিয়ে আনা হয়েছে। সারাদিন থেমে থেমে গুড়িগুড়ি বৃষ্টি হবে। সন্ধ্যার দিকে আকাশ কিছুটা মেঘমুক্ত হবে।
তাই এখনো যারা ঘর থেকে বের হননি, তারা সঙ্গে ছাতা নিতে ভুলবেন না যেন।