পাচার ও জঙ্গিগোষ্ঠির কার্যক্রমের হাত থেকে রক্ষার জন্য ইরান সীমান্তে ৯৫০ কিলোমিটার বেড়া নির্মাণ করছে পাকিস্তান। নিরাপত্তা সংক্রান্ত সমস্যার কারণে সীমান্তে বেড়া নির্মাণের জন্য পাকিস্তানকে চাপ প্রয়োগ করছিল ইরান। এতদিন সীমান্তের এই এলাকা খালি অবস্থায় ছিল।
এ প্রসঙ্গে পাকিস্তান সেনাবাহিনীর কমান্ডার মোয়াজ্জাম জান আনসারি জানিয়েছেন, সীমান্তে কোনো বেড়া না থাকায় নিরাপত্তাজনিত সমস্যার মুখে পড়তে হতো ইসলামাবাদকে। দীর্ঘদিন ধরে এ বিষয়ে আলোচনা চলছিল। কিন্তু অবশেষে এই বেড়া দেওয়ার কাজ শুরু হয়েছে। ইতোমধ্যে পাকিস্তান সংসদকে এ বিষয়ে বিস্তারিত জানিয়ে রিপোর্ট দেওয়া হয়েছে।
পাকিস্তান সংসদে দেওয়া তথ্যে মোয়াজ্জাম জানিয়েছেন, পাকিস্তানের বেলুচিস্তান প্রদেশ এবং ইরানের সিস্তান-বালুচিস্তান প্রদেশ সংলগ্ন এলাকা দীর্ঘদিন বেড়াশূন্য অবস্থায় ছিল। এখন সীমান্তে পাকাপাকিভাবে বেড়া দেওয়ার প্রকল্প নেওয়া হয়েছে।
সেনাবাহিনীর এই কর্তা আরও জানান, ইরান সীমান্তসংলগ্ন বেলুচিস্তানে পাকিস্তান সামরিক বাহিনী সম্প্রতি এক অভিযান চালিয়েছে। আর এই অভিযানে ১৫ জঙ্গি খতম হয়েছে।
পাকিস্তানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী শাহ মেহমুদ কোরেশি জানিয়েছেন, ইরান সীমান্তে সুরক্ষা ব্যবস্থা নিশ্চিত করতে ছ’টি পদক্ষেপ নিয়েছে পাকিস্তান। ‘শান্তির সীমান্ত’ নামের প্রকল্পের আওতায় এসব পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। সীমান্তের যেসব পথে জঙ্গি গোষ্ঠীগুলি অহরহ আনাগোনা করে, সে সমস্ত জায়গায় বেড়া দেওয়ার প্রকল্প নেওয়া হয়েছে।
পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান গত এপ্রিল মাসে তেহরান সফর করেন। সে সময় দেশ দুটি ‘যৌথ র্যাপিড রিঅ্যাকশন ফোর্স’ গঠনে সম্মত হয়েছে। সীমান্তে ক্রমাগত বেড়ে চলা সন্ত্রাসবাদ মোকাবেলার লক্ষ্যেই এই ফোর্স গঠন করা হচ্ছে।
জয়নিউজ/আরসি