বাঁশখালীর গন্ডামারা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও বিএনপি নেতা মো. লিয়াকত আলীর বিরুদ্ধে আরও এক মামলায় সোমবার (৩ সেপ্টেম্বর) বাঁশখালী সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যজিস্ট্রেট মাইনুল ইসলাম ওয়ারেন্ট জারি করেছেন।
গত ৪ জুন উপজেলা সদরস্থ বাঁশখালী আলাওল ডিগ্রী কলেজ মাঠে এক সমাবেশে উপস্থিত হয়ে বঙ্গবন্ধু ও প্রধানমন্ত্রীকে কটূক্তি করে বক্তব্য দেয়ায় গত ৭ জুন বর্তমান সংসদ সদস্য মোস্তাফিজুর রহমান চৌধুরীর ব্যক্তিগত সচিব ও উপজেলা যুবলীগের সভাপতি তাজুল ইসলাম বাদি হয়ে বাঁশখালী আদালতে মানহানি মামলা করেন। আদালত ওইদিন তার বিরুদ্ধে সমন ইস্যু করে গত ১০ জুলাই আদালতে হাজির হওয়ার নির্দেশ দেন। ওই তারিখে হাজির না হওয়ায় আদালত সোমবার শুনানি শেষে ওয়ারেন্ট জারি করেন। ওই একই ঘটনায় দক্ষিণ জেলা আওয়ামীলীগ নেতা আব্দুল্লাহ কবির লিটন বাদি হয়ে ওই চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহিতা মামলাও করেছিলেন।
উল্লেখ্য, ২৪ মামলার পলাতক এ আসামি গত ২০১৭ সালের ২৫ মে গন্ডামারা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান নির্বাচিত হওয়ার পর থেকে উপজেলা আইন শৃঙ্খলা সভা ও উপজেলা সমন্বয় সভায় একবারও উপস্থিত হননি।
থানা পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, বাঁশখালী থানা, বাঁশখালী আদালত, আনোয়ারা থানা, বাকলিয়া থানাসহ বিভিন্ন থানায় ১৯৯৪ সাল থেকে পৃথক পৃথকভাবে নয়জনকে হত্যা, রাষ্ট্রদ্রোহিতা, অস্ত্র আইন, বিস্ফোরক উৎপাদনকারী আইন, নাশকতার ঘটনা, চেক জালিয়াতিসহ ২২টি মামলা ছিল। নতুন করে আরো ২টি মামলা হওয়ায় বর্তমানে তিনি ২৪টি মামলার আসামি। তবে পূর্বের ২২টি মামলার মধ্যে কয়েকটিতে জামিনে আছেন। কয়েকটি মামলায় ওয়ারেন্ট ইস্যু হয়েছে। ৭/৮টি মামলা তদন্তাধীন ও বিচারাধীন আছে।
বাঁশখালী থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. সালাহউদ্দিন বলেন, ‘গন্ডামারা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও দক্ষিণ জেলা বিএনপি’র সাবেক যুগ্ম সম্পাদক মো. লিয়াকত আলী ওয়ারেন্টভূক্ত পলাতক আসামি। তাঁর বিরুদ্ধে নতুন করে আরও এক মামলায় ওয়ারেন্ট জারি হয়েছে।’
বাঁশখালী আদালতের আইনজীবী এস এম তোফাইল বিন হোসাইন বলেন, ‘চেয়ারম্যান লিয়াকতের বক্তব্য খুবই ধৃষ্টতাপূর্ণ। ২৪ মামলার ওয়ারেন্টভূক্ত এ পলাতক আসামিকে দ্রুত গ্রেপ্তার করে আইনি প্রক্রিয়ায় সোর্পদ করা উচিত।’
জয়নিউজ/জেডএইচ