আগের ম্যাচে ধীরগতির ফিফটির জন্য কতই না সমালোচনা হয়েছে। এবার সমালোচনার জবাবটা দিলেন দুর্দান্ত এক সেঞ্চুরি করে। বলছিলাম অস্ট্রেলিয়ার মারকুটে ওপেনার ডেভিড ওয়ার্নারের কথা।
বিশ্বকাপে বুধবার (১২ জুন) টনটনে পাকিস্তানের বিপক্ষে তিন অঙ্ক ছুঁয়েছেন ওয়ার্নার। ১১১ বলে করেছেন ১০৭ রান। ১১ চার ও এক ছক্কায় ইনিংসটি সাজান অস্ট্রেলিয়ান ওপেনার।
টস হেরে ব্যাট করতে নেমে ওয়ার্নার ও অ্যারন ফিঞ্চের ১৪৬ রানের উদ্বোধনী জুটিতে দারুণ সূচনা পায় অস্ট্রেলিয়া। ১৯৭৫ সালের পর ইংল্যান্ডের মাটিতে ওয়ানডেতে অস্ট্রেলিয়ার সেরা উদ্বোধনী জুটি এটি। ফিঞ্চ ৮৪ বলে ৮২ করে ফিরলেও ওয়ার্নার সেঞ্চুরির সুযোগ হাতছাড়া করেননি।
ভারতের বিপক্ষে হেরে যাওয়া আগের ম্যাচে ওয়ার্নার ফিফটি করতে খেলেছিলেন ৭৭ বল। এদিন পঞ্চাশ ছুঁয়েছেন ৫১ বলে। পরের পঞ্চাশ করতেও লেগেছে ঠিক ৫১ বল। ১০২ বলে ছুঁয়েছেন তিন অঙ্ক।
ওয়ানডেতে এটি ওয়ার্নারের ১৫তম সেঞ্চুরি, বিশ্বকাপে দ্বিতীয় আর পাকিস্তানের বিপক্ষে তৃতীয়। সেঞ্চুরির পর একবার জীবন পেলেও ইনিংসটা আর বেশিদূর নিতে পারেননি তিনি। শাহিন শাহ আফ্রিদির অফ স্টাম্পের বাইরের বলে ক্যাচ দেন ডিপ পয়েন্টে।
বল টেম্পারিং কেলেঙ্কারিতে এক বছরের নিষেধাজ্ঞা কাটিয়ে ওয়ার্নার আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ফেরেন বিশ্বকাপ দিয়েই। প্রথম ম্যাচে আফগানিস্তানের বিপক্ষে খেলেন অপরাজিত ৮৯ রানের ম্যাচজয়ী ইনিংস।
বাঁহাতি ব্যাটসম্যান পরের ম্যাচে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে অবশ্য ৩ রানের বেশি করতে পারেননি। এরপর ভারতের বিপক্ষে বড় লক্ষ্য তাড়ায় ৫৬ রান করেন ৮৪ বলে। এবার করলেন দুর্দান্ত এক সেঞ্চুরি।