তিউনিসিয়ায় শরণার্থীবোঝাই একটি নৌকা আটকা পড়েছে। ওই নৌকায় থাকা ৭৫ শরণার্থীর অধিকাংশই বাংলাদেশি। মঙ্গলবার (১২ জুন) রেড ক্রিসেন্ট জানিয়েছে, কর্তৃপক্ষ ওই নৌকাটিকে তীরে ভেড়ার অনুমতি দেয়নি। ফলে দু’সপ্তাহ ধরে নৌকা নিয়ে সাগরেই ভাসছে শরণার্থীরা।
মিশরের একটি নৌকা তিউনিসিয়ার সাগর থেকে ওই শরণার্থীদের উদ্ধার করে। তবে তিউনিসিয়া কর্তৃপক্ষ বলছে, তাদের শরণার্থীকেন্দ্র জনাকীর্ণ। এ পরিস্থিতিতে নতুন করে আর কোনো শরণার্থীকে জায়গা দেওয়া সম্ভব নয়। ফলে ওই নৌকাটি উপকূলীয় জারজিস শহর থেকে ২৫ কিলোমিটার দূরে অবস্থান নিয়েছে।
সরকারি একটি সূত্র বলছে, ওই নৌকায় থাকা শরণার্থীরা খাবার এবং চিকিৎসাসেবা নিতে চাচ্ছে না। তারা কেবল ইউরোপে যাওয়ার অনুমতি চাচ্ছে। উন্নত জীবনের আশায় ইউরোপে পাড়ি দিতেই এমন বিপজ্জনক পথ পাড়ি দিয়েছে তারা।
রেড ক্রিসেন্টের এক কর্মকর্তা জানান, বেশ কয়েকজন চিকিৎসক ওই শরণার্থীদের চিকিৎসাসেবা দিতে গিয়েছিলেন। কিন্তু তারা তা প্রত্যাখ্যান করে।
তিনি বলেন, এভাবে সাগরে ভেসে থাকা এই শরণার্থীদের অবস্থা ভালো নয়।
লিবিয়া থেকে যাত্রা করা ওই শরণার্থীদের মধ্যে ৬৪ জন বাংলাদেশি। বাকিরা মরক্কো, সুদান এবং মিশরের নাগরিক।
মানব পাচারকারীদের মাধ্যমে আফ্রিকান শরণার্থীদের ইউরোপে পৌঁছানোর প্রধান একটি পয়েন্ট লিবিয়া উপকূল। এই উপকূল দিয়েই সবচেয়ে বেশি শরণার্থী ইউরোপে পাড়ি জমানোর চেষ্টা করে।
জয়নিউজ/আরসি