কাপ্তাইয়ে কর্ণফুলী নদীতে ডুবে ও বিদ্যুৎস্পর্শে দুই যুবকের মর্মান্তিক মৃত্যু হয়েছে। এছাড়া নদীতে ডুবে যাওয়া অপর এক যুবক নিখোঁজ রয়েছেন।
কাপ্তাই ও চন্দ্রঘোনা থানা সূত্রে জানা গেছে, চট্টগ্রাম নগরের হালিশহর এলাকার খান বাড়ির আরিফ খান বৃহস্পতিবার সপরিবারে কাপ্তাই ঘুরতে আসেন। বিকেলে তার ছেলে আনোয়ারুল আরেফিন অনু (১৯) ও নগরের চকবাজারের বাদুরতলার মো. কায়কোবাদের ছেলে হামেদ হাসান (৩০) গোসল করতে কর্ণফুলীতে নেমে তলিয়ে যান।
ঘটনা জানাজানি হলে স্থানীয়রা কাপ্তাই ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স এবং নৌ-বাহিনীর ডুবুরি দলকে খবর দিলে বিএন শহীদ মোয়াজ্জেম ঘাঁটির লে. কর্নেল কবির উদ্দিনের নেতৃত্বে কাপ্তাই নৌ-বাহিনীর ডুবুরি দল উদ্ধার অভিযান চালায়। বিকাল সাড়ে ৪টার দিকে আনোয়ারুল আরেফিনের মরদেহ উদ্ধার করে ডুবুরি দল। সন্ধ্যায় এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত হামেদ হাসান নিখোঁজ রয়েছেন। শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত উদ্ধার অভিযান চলছে।
অন্যদিকে কাপ্তাইয়ের চিৎমরমের মুসলিমপাড়ার নিজ বাড়ি থেকে ১০০ গজ দূরে বৈদ্যুতিক খুঁটিতে ত্রুটি সারাতে গিয়ে ঘটনাস্থলেই বিদ্যুৎস্পর্শে গুরুতর আহত হন মো. ইকবাল হোসেন কালু (১৬)। তিনি মুসলিম পাড়ার মো. সিরাজুল ইসলাম প্রকাশ বার্মাইয়া সিরাজের ছেলে।
পরে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে খ্রিস্টিয়ান হাসপাতালে নিলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
চিৎমরমের সাবেক ইউপি সদস্য মো. আবদুর রাজ্জাক বলেন, মো. ইকবাল হোসেন কালু পারিবারিক কাজ করতে গিয়ে দুর্ঘটনায় পড়েন।
কাপ্তাই থানার অফিসার ইনচার্জ সৈয়দ মো. নূর ও চন্দ্রঘোনা থানা অফিসার ইনচার্জ আশ্রাফ উদ্দিন ঘটনা দুটির সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।
কাপ্তাই উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আশ্রাফ আহমেদ রাসেল বলেন, ঘটনাটি আসলেই খুব বেদনাদায়ক। কিছুদিন আগেও ঢাকা থেকে কয়েকজন পর্যটক কাপ্তাই ঘুরতে এসে নদীতে গোসল করতে নেমে মৃত্যুবরণ করেন।