পুরো ম্যাচে আধিপত্য বিস্তার করে ইংল্যান্ড আরেকটি ম্যাচ জিতল ফেবারিটদের মতোই। উইন্ডিজদের বিপক্ষে ৮ উইকেটের বড় জয় এসেছে ১৬.৫ ওভার হাতে রেখেই। এই জয়ে বিশ্বকাপে সেমিফাইনালের পথে আরেক ধাপ এগোল স্বাগতিক ইংল্যান্ড।
প্রথমে ব্যাট করে সব উইকেট হারিয়ে উইন্ডিজরা সংগ্রহ করে ২১২ রান। রুটের সেঞ্চুরিতে সেই রান ইংলিশরা টপকে গেছে সহজেই। ওপেনার বেয়ারস্টো আউট হন ৪৫ রান করে। ব্যাটিং অর্ডারে প্রমোশন পেয়ে ব্যাট ঝালাই করে ক্রিস ওকস ফিরে যান ৪০ রান করে। রুটের সঙ্গে ব্যক্তিগত ১০ রান করে অপরাজিত থাকেন বেন স্টোকস।
এর আগে টস জিতে ইংলিশ অধিনায়ক এউইন মরগানের আগে ফিল্ডিং করার সিদ্ধান্তকে সঠিক প্রমাণ করেছেন তার বোলাররা। উইন্ডিজকে ৪৪.৪ ওভারে ২১২ রানে অলআউট করে দেয় ইংলিশ পেস অ্যাটাক।
শুক্রবার (১৪ জুন) বাংলাদেশ সময় দুপুর সাড়ে তিনটায় উভয় দলই নিজেদের চতুর্থ ম্যাচে সাউদাম্পটনের হ্যাম্পশায়ার বোলে মাঠে নামে।
আমন্ত্রণ পেয়ে ব্যাটিংয়ের উদ্বোধন করতে নামেন এভিন লুইস এবং ক্রিস গেইল। ব্যক্তিগত ২ রান করে ক্রিস ওকসের বলে বোল্ড হন লুইস। গেইল করেন ৩৬ রান। তার ৪১ বলের ইনিংসে ছিল পাঁচটি চার আর একটি ছক্কার মার। শাই হোপ ১১ রান করে সাজঘরে ফেরেন। চার নম্বরে নেমে ফিফটির দেখা পান নিকোলাস পুরান। ৪৮ বলে চারটি বাউন্ডারিতে ৩৯ রান করে বিদায় নেন শিমরন হেটমায়ার।
দলপতি জেসন হোল্ডারের ব্যাট থেকে আসে মাত্র ৯ রান। আন্দ্রে রাসেল দ্রুত রান তুলতে গিয়ে বিদায় নেন ব্যক্তিগত ২১ রানে। তার ১৬ বলের ইনিংসে ছিল একটি চার আর দুটি ছক্কা। ইনিংসের ৪০তম ওভারে জোফরা আর্চার ফিরিয়ে দেন ৬৩ রান করা নিকোলাস পুরানকে। বিদায়ের আগে ৭৮ বলে তিনটি চারের সঙ্গে একটি ছক্কা হাঁকান তিনি। পরের বলেই আর্চার ফিরিয়ে দেন শেলডন কটরেলকে। হ্যাটট্রিকের সম্ভাবনা জাগিয়ে সেটি করতে পারেননি আর্চার। কার্লোস ব্রাথওয়েট ১৪ রান করেন। ওশানে থমাস, শেলডন কটরেল এবং শ্যানন গ্যাব্রিয়েলরা ফিরে গেছেন শূন্য হাতে।
জোফরা আর্চার, মার্ক উড তিনটি করে উইকেট তুলে নেন। দুটি উইকেট দখল করেন জো রুট। একটি করে উইকেট পান ক্রিস ওকস এবং লিয়াম প্লাংকেট।