প্রধান অন্তরায় শিক্ষক সংকট

শিক্ষক সংকটের কারণে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন (চসিক) পরিচালিত কলেজগুলোতে শিক্ষা কার্যক্রম সুষ্ঠুভাবে পরিচালনা সম্ভব হচ্ছে না। এমন কলেজও রয়েছে যেখানে একজন শিক্ষকও নেই। আবার কোনো কলেজেই নেই আইসিটির শিক্ষক। বাংলা ও ইংরেজির শিক্ষকরা আইসিটি পড়ান। আবার কোনো কোনো সময় দেখা যায়, স্কুলশিক্ষক দিয়ে চালিয়ে নেওয়া হচ্ছে কলেজের ক্লাস।

- Advertisement -

চসিকের শিক্ষা বিভাগের তথ্যমতে, বর্তমানে চসিক পরিচালিত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সংখ্যা ৮৬। এরমধ্যে মাধ্যমিক বিদ্যালয় ৪৭টি (বালক ৮টি, বালিকা ২৫টি, সহশিক্ষা ১৪টি), কলেজ ২১টি (ডিগ্রি কলেজ ৭টি, উচ্চ মাধ্যমিক কলেজ ১৪টি), ১টি ইংলিশ মিডিয়াম স্কুল ও ৭টি কিন্ডারগার্টেন স্কুল।

- Advertisement -google news follower

অপর্ণাচরণ সিটি করপোরেশন বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় ও কলেজের অধ্যক্ষ জারেকা বেগম জয়নিউজকে বলেন, আমাদের স্কুলে ৫০০ জন শিক্ষার্থী আছে। এর বিপরীতে আছেন মাত্র ১৬ জন শিক্ষক। আমাদের কলেজে বিজ্ঞান, ব্যবসায় শিক্ষা ও মানবিক- তিনটি শাখাই রয়েছে।
তিনি আরো বলেন, সিটি করপোরেশন স্কুল ও কলেজগুলোতে শিক্ষার মান ভালো। কিন্তু শিক্ষকের অভাব রয়েছে। আমার মনে হয়, যদি শিক্ষক আরও বাড়ানো হয় তাহলে মান আরো উন্নত হবে। অনেক সময় আমাদের স্কুলের শিক্ষকরা কলেজেও ক্লাস নেন। আমাদের এখানে ই- হাজিরা চালু করা হয়েছে। এছাড়াও বিভিন্ন সুযোগ-সুবিধা আছে। সামনে আমরা কলেজ আরো বড় করব।

চসিক পরিচালিত মিউনিসিপ্যাল মডেল স্কুল এন্ড কলেজের অধ্যক্ষ সাহেদুল কবির চৌধুরী জয়নিউজকে বলেন, আমাদের কলেজ শাখায় দুইটি বিভাগ ( বিজ্ঞান এবং ব্যবসায় শাখা) চালু রয়েছে। দুটো শাখায় ২৫০ জনের চেয়ে বেশি ছাত্রছাত্রী রয়েছে। অথচ আমাদের এখানে শিক্ষক মাত্র ১১ জন।

- Advertisement -islamibank

তিনি আরো বলেন, আমাদের এখানে ব্যবস্থাপনা, ফিন্যান্স, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি (আইসিটি) বিষয়ের শিক্ষক নেই। আমরা কলেজ আরো বড় করব। কিছুদিনের মধ্যে এ কাজ শুরু হবে।

দেওয়ানহাট সিটি করপোরেশন কলেজের ছাত্রী তিশা চৌধুরী জয়নিউজকে বলেন, কলেজে পড়ালেখার মান ভালো, কিন্তু শিক্ষক খুব কম। যার জন্য অনেক ক্লাসই হয় না।

চসিক কায়সার-নিলুফার কলেজের অধ্যক্ষ শেখ মো. ওমর ফারুক জয়নিউজকে বলেন, জনবল কাঠামো অনুযায়ী শিক্ষকের সংখ্যা নির্ধারিত হয়। আমার কলেজে তিনটি শাখা রয়েছে। তিন শাখায় ৫৫০ জন শিক্ষার্থী রয়েছে। শিক্ষকের সংখ্যা ১৬ জন। আমার কলেজে খুব শিগগিরই ডিগ্রি কোর্সও চালু করা হবে।

তিনি আরো বলেন, সিটি করপোরেশন কলেজে শিক্ষার্থীদের পাসের হার তুলনামূলকভাবে কম। দেখা যায়, সরকারি কলেজগুলোতে অনেকে ভর্তি হতে পারে না। তখন তাদেরকে বাধ্য হয়ে সিটি করপোরেশনের কলেজ এবং প্রাইভেট কলেজে যেতে হয়। অনেকে টাকার জন্য প্রাইভেট কলেজে ভর্তি হতে পারে না। তাই সিটি করপোরেশনের কলেজ আরো বাড়ানো দরকার।

পতেঙ্গা সিটি করপোরেশন মহিলা কলেজের ছাত্রী সায়মা খানম বলেন, শিক্ষার্থীর তুলনায় শিক্ষক খুব কম। আমাদের কলেজে ১২০০ ছাত্রী আছে। সে অনুপাতে শিক্ষক নেই।

সায়মা আরো জানান, অনেক সময় ক্লাস হয় না শিক্ষকের অভাবে। যদি শিক্ষকের সংখ্যা বাড়ানো হয়, তাহলে রেজাল্ট আরো ভালো হবে।

জয়নিউজ/আরসি

KSRM
পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জয়নিউজবিডি.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন news@joynewsbd.com ঠিকানায়।

এই বিভাগের আরো খবর

সর্বশেষ সংবাদ

×KSRM