হাটহাজারীর মোহাম্মদপুরে গৃহবধূ রেহেনা আক্তার সুমি হত্যা মামলার প্রধান আসামি মো. রাশেদকে (৩৮) গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
গ্রেপ্তার রাশেদ পৌরসভার উত্তর মোহাম্মদপুর এলাকার আনসার আলী ছুফির বাড়ির নুরুল আমিন প্রকাশ শমসুর ছেলে ও গৃহবধূ সুমির স্বামী।
শুক্রবার (১৪ জুন) দিবাগত রাতে পুলিশ নগরের হামজারবাগ এলাকা থেকে রাশেদকে গ্রেপ্তার করে।
থানা পুলিশ জানায়, ১৮ এপ্রিল (বৃহস্পতিবার) সকালে গৃহবধূ সুমি আকতারের সঙ্গে যৌতুকের জন্য তার শ্বশুরবাড়ির লোকজনের ঝগড়া হয়। প্রতিদিনের মতো নিহতের ছেলে-মেয়ে স্কুলে চলে গেলে কোনো এক সময় শ্বশুরবাড়ির লোকজন তাকে হত্যা করে লাশ ঘরের মেঝেতে ফেলে বাড়ি ছেড়ে পালিয়ে যায়।
পরে খবর পেয়ে হাটহাজারী মডেল থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মো. জসিম উদ্দিন সঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে সুমির লাশ উদ্ধার করেন। এ সময় নিহত সুমির ঘাড় ছিল ভাঙা ও গলায় আঘাতের চিহ্ন ছিল।
এ ঘটনায় নিহতের ভাই মো. মনসুর হোসেন বাদি হয়ে সুমির স্বামী মো. রাশেদকে প্রধান আসামি করে মামলা করেন।
মামলার অন্যান্য আসামিরা হলেন শ্বশুর নুরুল আমিন প্রকাশ শমসু (৬০), শাশুড়ি রাবেয়া বসরী (৫২) ও চাচা শ্বশুর নুরুল ইসলাম।
ওই হত্যা মামলা দায়েরের পরেরদিন শাশুড়ি রাবেয়া বসরী (৫২) ও চাচা শ্বশুর নুরুল ইসলামকে পুলিশ গ্রেপ্তার করলেও প্রধান আসামি রাশেদ এতদিন পলাতক ছিল বলে জানান হাটহাজারী সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আবদুল্লাহ আল মাসুম।
তিনি আরও জানান, শুক্রবার দিবাগত রাতে নগরের হামজারবাগ থেকে রাশেদকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। শনিবার ( ১৫ জুন) সকালে তাকে আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে।
এছাড়া এ মামলার আরেক আসামি শ্বশুর নুরল আমিন প্রকাশ শমসুকে গ্রেপ্তারের জন্য অভিযান অব্যাহত আছে।