বাঁশখালীতে বন্য হাতি তাড়ানোর জন্য ক্ষেতে দেওয়া বৈদ্যুতিক ফাঁদে বিদ্যুৎ স্পৃষ্ট হয়ে দিলোয়ারা বেগম (৫০) নামে এক কৃষানির মৃত্যু হয়েছে। দেলোয়ারা কৃষক সালেহ আহমদের স্ত্রী। তার দুই ছেলে ও দুই মেয়ে রয়েছে।
শনিবার (১৫ জুন) সকাল ৮টায় বৈলছড়ি ইউনিয়নের অভ্যারখীল গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। পুলিশ লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য লাশ মর্গে প্রেরণ করেছেন।
সরেজমিনে জানা গেছে, বৈলছড়ি ইউনিয়নের পূর্ব বৈলছড়ি অভ্যারখীল গ্রামের পাহাড়ে বন্য হাতির তাণ্ডবে এলাকার কৃষকদের ফসলের ব্যাপক ক্ষতি হয়। বন্য হাতির তাণ্ডব ও চোরের উপদ্রব ঠেকানোর জন্য স্থানীয়রা বৈদ্যুতিক তারের ফাঁদ টাঙিয়ে দেন।
শনিবার সকাল ৮টায় দিলোয়ারা বেগম কাঁকরোল ক্ষেতে কাজ করতে গেলে ওই ক্ষেতের পাশ দিয়ে নেওয়া নাছির আহমদের টাঙানো বৈদ্যুতিক ফাঁদে আটকে মারা যান তিনি।
এ সময় অন্যান্য কৃষক-কৃষানিরা বিষয়টি দেখে দ্রুত বৈদ্যুতিক সংযোগ বন্ধ করে কৃষানি দেলোয়ারাকে উদ্ধার করে বাঁশখালী হাসপাতালে নিয়ে আসেন।পরে হাসপাতালের ডাক্তার মৃত ঘোষণা করেন তাকে।
বাঁশখালী পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি-১ এর ডেপুটি জেনারেল ম্যানেজার মো. নাঈম উদ্দিন জয়নিউজকে বলেন, বৈদ্যুতিক ফাঁদে এক কৃষানি মারা যাবার খবর পেয়ে অবৈধ বৈদ্যুতিক সংযোগকারী দুই ব্যক্তির বৈদ্যুতিক মিটার খুলে নিয়ে আসা হয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ নেওয়া হবে।
বৈলছড়ি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান কফিল উদ্দিন চৌধুরী জয়নিউজকে বলেন, ফসলি জমিতে বন্য হাতি ও চোরের উপদ্রব ঠেকাতে দেওয়া অবৈধ বৈদ্যুতিক সংযোগের ফাঁদে আটকে কৃষানি দেলোয়ারা বেগমের মৃত্যু হয়েছে। ফসলি জমিতে দিনেদুপুরে বৈদ্যুতিক ফাঁদ দিয়ে রাখা স্থানীয় কৃষকদের জন্য চরম ঝুঁকিপূর্ণ। বিষয়টি জরুরিভিত্তিতে খতিয়ে দেখা উচিত।
থানার উপ-পরিদর্শক মো. হাবিবুর রহমান জয়নিউজকে বলেন, ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। কৃষানি দেলোয়ারা বন্য হাতি ও চোরের উপদ্রব ঠেকাতে দেওয়া বৈদ্যুতিক ফাঁদে আটকে মারা গেছেন। তার লাশ উদ্ধার করে মর্গে পাঠানো হয়েচছে। দোষীদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।