নগরের পাথরঘাটায় ২০ ধরনের সেবা নিয়ে চালু করা হয়েছে ডিজিটাল সেন্টার।
রোববার (১৬ জুন) দুপুরে এই সেবা উদ্বোধন করেন চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীন।
বর্তমান সরকারের এ-টু-আই প্রজেক্টের আওতায় নগরে প্রায় দুই শ-এর অধিক ডিজিটাল সেন্টার স্থাপন করা হয়েছে। এসব ডিজিটাল সেন্টারের মাধ্যমে নগরবাসী পর্যাপ্ত সুযোগ-সুবিধা ভোগ করছেন।
সিটি করপোরেশনের সেবা ছাড়াও এই ডিজিটাল কেন্দ্রে পাওয়া যাবে ২০ ধরনের সেবা।
উদ্বোধনী বক্তব্যে মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীন বলেন, প্রধানমন্ত্রী দিনবদলের সনদ হিসেবে ডিজিটাল বাংলাদেশের ঘোষণা দিয়েছেন। প্রথমদিকে কেউ কেউ ডিজিটাল বাংলাদেশ বিষয়টিকে ঠিকমতো বিশ্বাস করেনি। কিন্তু বাংলাদেশের তরুণ প্রজন্ম বিষয়টিকে আস্থার সঙ্গে নিয়ে এ ঘোষণার প্রতি অকুণ্ঠ সমর্থন ব্যক্ত করেছে।
তিনি বলেন, ডিজিটাল বাংলাদেশ বিষয়টি উপর থেকে চাপিয়ে দেওয়া নয়। বরং তৃণমূল থেকে উঠে আসা একটি বিষয়। ডিজিটাল বাংলাদেশ যে মিথ্যা নয়, তা এর মধ্যেই প্রমাণিত হয়েছে।
তিনি আরো বলেন, নগরের সীমা পেরিয়ে গ্রামে-গঞ্জেও ডিজিটাল সেন্টার স্থাপন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ডিজিটাল বাংলাদেশ বিনির্মাণ আন্দোলনের দৃশ্যমান রূপ।
মেয়র বলেন, বর্তমানে নগরের ১৯ ওয়ার্ডে ডিজিটাল সেন্টার স্থাপন করা হয়েছে। অবশিষ্ট ২২ ওয়ার্ডে এই ডিজিটাল সেন্টার স্থাপন করে স্থানীয় সরকারের পরিপত্র পালন করা হবে।
কাউন্সিলর ইসমাইল বালির সভাপতিত্বে সভায় উপস্থিত ছিলেন কাউন্সিলর হাসান মুরাদ বিপ্লব , রাজনীতিক দেবাশীষ গুহ বুলবুল, অ্যাডভোকেট জিয়া উদ্দিন জিয়া, আফছার উদ্দিন,ফজলে আজিজ বাবুল, আনিসুর রহমান, আশফাক আহমেদ ও কায়সার আকতার তাহিন উপস্থিত ছিলেন।
পাথরঘাটার ডিজিটাল সেন্টারের সেবার মধ্যে রয়েছে জন্মনিবন্ধন সনদের আবেদন, অনলাইনে পাসপোর্টের আবেদন, পুলিশ ক্লিয়ারেন্স সার্টিফিকেট, হজযাত্রীদের প্রাক নিবন্ধন, ওয়ারিশ ও মৃত্যু সনদের আবেদন, চারিত্রিক ও আয়ের সনদ, হারানো/পুরানো ভোটার তথ্য, স্ট্যাম্প বিক্রয়, কম্পিউটার প্রশিক্ষণ, কম্পিউটার কম্পোজ, প্রিন্ট, স্ক্যানিং, ই-মেইল, ফটোকপি, লেমিনেটিং, ইন্টারনেট ব্রাউজিং, ডিজিটাল স্টুডিও সেবা ছবি তোলা ও ছবি থেকে ছবি, ডিজিটাল প্রিন্টিং সেবা, বিভিন্ন প্রত্যয়ন পত্রের আবেদন, স্কুল, কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি, মোবাইল ব্যাংকিং, ই-টিকেটিং সেবা ও এজেন্ট ব্যাংকিং সেবা ইত্যাদি।