হাটহাজারী উপজেলার ১৫নং বুড়িশ্চর ইউনিয়নের বাসিন্দা আরেফিন সাকিব (২৭)। পেশায় একজন ব্যবসায়ী। তার জন্মতারিখের সঙ্গে জন্মনিবন্ধনে মিল না থাকায় পাসপোর্ট তৈরিতে তা অন্তরায় হয়ে দাঁড়ায়। ঈদের আগে ও পরে বেশ কয়েকবার জন্মসনদ সংশোধন করতে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র নিয়ে তিনি হাটহাজারী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কার্যালয়ে যান।
গত ১১ জুন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কার্যালয়ে আসেন আরেফিন। ওইদিন দীর্ঘ সময় অতিবাহিত হওয়ার পর ইউএনওর অনুপস্থিতিতে আব্দুল মালেক নামে এক কর্মচারী তাকে জানায়, এসব কাজ এখন আর ডিসি স্যার করেন না। সব কাজ ঢাকায় গিয়ে করতে হয়। আর এ কাজ করতে তাকে (ওই কর্মচারী) ১২ হাজার টাকা দিতে হবে। ওই পরিমাণ টাকা দিলে ৪-৫ দিনের মধ্যে কাজটি করে দেবেন।
রোববার (১৬ জুন) উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ রুহুল আমীনকে এ ব্যাপারে অবহিত করেন আরেফিন। ইউএনও বিষয়টি জানতে পেরে সমস্যার সমাধানসহ অভিযুক্ত কর্মচারীর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার উদ্যোগ নেন।
ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে ইউএনও রুহুল আমিন মুঠোফোনে জানান, এই সামান্য কাজের জন্য ১২ হাজার টাকা দাবির কথা শুনে আমি রীতিমতো হতবাক হয়েছি।
তিনি আরও বলেন, বিষয়টি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে আরেফিন নামে ওই ব্যক্তি আমকে অবহিত করলে আমি তাকে আমার কার্যালয়ে আসতে বলি। দুই ঘণ্টার মধ্যে আরেফিনকে তার সেবা বুঝিয়ে দিয়েছি। আর অভিযুক্ত কর্মচারীকে শোকজ করি এবং তার বিরুদ্ধে বিভাগীয় মামলার উদ্যোগ নিয়েছি।
তবে এ ঘটনাটি পুরাপুটি সঠিক নয় বলে এ প্রতিবেদকের কাছে দাবি করেন অভিযুক্ত আব্দুল মালেক।
জয়নিউজ/তালেব/আরসি