সেই বালিশ কাণ্ডে জড়িত কর্মকর্তা ছাত্রদল করতেন এবং একসময় তিনি বুয়েট ছাত্রদলের নির্বাচিত ভিপি ছিলেন বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
সোমবার (১৭ জুন) সংসদে প্রধানমন্ত্রী এ কথা বলেন।
এসময় প্রধানমন্ত্রী বলেন, একজন বালিশতত্ত্ব নিয়ে এসেছেন। পরমাণু বিদ্যুৎকেন্দ্রের ওই ঘটনায় যিনি দায়িত্বে ছিলেন, তার কিছু পরিচয় আমরা পেয়েছি। তাকে সেখান থেকে (দায়িত্ব) সরানোও হয়েছে। যখনই তথ্য পেয়েছি, সঙ্গে সঙ্গে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিয়েছি।
গৃহায়ণ ও গণপূর্তমন্ত্রী শ ম রেজাউল করিমের অনুপস্থিতিতে তার পক্ষে বক্তব্য দেন প্রধানমন্ত্রী।
তিনি আরও বলেন, বালিশতত্ত্ব নিয়ে আমারও একটা প্রশ্ন আছে। পরমাণু বিদ্যুৎকেন্দ্র সেখানে গড়ে উঠছে। সেখানে আর কিছু না পেয়ে পেল বালিশ। এটা কোন বালিশ। কী বালিশ, সেটাও একটা প্রশ্ন? এটা কী তুলার বালিশ। কোন তুলা? কার্পাস তুলা না শিমুল তুলা, নাকি সিনথেটিক তুলা। নাকি জুটের তুলা। আর বালিশ নিয়ে রাস্তায় আন্দোলন করতে দেখলাম। এত মানুষ, এত বালিশ একদিনে কিনে ফেলল কীভাবে? এই বালিশ কেনার টাকার জোগানদারটা কে? সেটা আর বলতে চাই না।
সরকারি কর্মকর্তাদের দুর্নীতি প্রশ্নে প্রধানমন্ত্রী বলেন, দুর্নীতিগ্রস্ত প্রতিষ্ঠানগুলির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া একান্ত প্রয়োজন। কিন্তু সরকারি চাকরিতে একবার ঢুকলে সেখান থেকে আর বের করা যায় না। তবে, দুর্নীতি দমন কমিশন এখন স্বাধীনভাবে কাজ করতে পারছে।