অন্য পরীক্ষার্থীর হয়ে পুলিশের উপপরিদর্শক (এসআই) নিয়োগের পরীক্ষা দিতে গিয়ে মো. শাহ আলম (২৬) ও মো. জাহিদ হোসেন (২৭) নামে ঢাকা ও জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের দুই শিক্ষার্থীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
নগরের দামপাড়ায় সিএমপি স্কুল অ্যান্ড কলেজ এবং ওমরগণি এমইএস কলেজে পরীক্ষার হল থেকে তাদের আটক করা হয়।
আলম টাঙ্গাইলের বাসাইল এলাকার ইউসুফ আলীর ছেলে ও জাহিদ চাঁদপুরের হাজীগঞ্জ এলাকার আবদুল সাত্তারের ছেলে।
খুলশী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) প্রণব চৌধুরী জয়নিউজকে বলেন, জাহিদ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের হিসাব বিজ্ঞান বিভাগ থেকে মাস্টার্সের চূড়ান্ত পরীক্ষা দিয়েছে। জাহিদ জসীম উদ্দিন হলের ৩৩২ নম্বর কক্ষের আবাসিক ছাত্র। আর শাহ আলম জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের মাস্টার্সের ছাত্র।
পুলিশ জানায়, প্রথমদিনে দামপাড়া পুলিশ লাইনের ভেতরে সিএমপি স্কুল অ্যান্ড কলেজে মো. নাঈম উদ্দিন হোসেন (২৭) নামে একজনের হয়ে পরীক্ষা দিচ্ছিল শাহ আলম। হল পরিদর্শক মো. আসাদুজ্জামান টিটুর সন্দেহ হলে পরিচয়পত্রের সঙ্গে মেলাতে গিয়ে প্রক্সি দেওয়ার বিষয়টি ধরা পড়ে। পরে তাকে পুলিশের হাতে তুলে দেওয়া হয়।
অন্যদিকে, সোমবার নগরের ওমরগণি এমইএস কলেজে মো. ছালেহ উদ্দিন নামে এক পরীক্ষার্থীর হয়ে পরীক্ষায় বসেছিল জাহিদ। প্রথমদিন নকল পরীক্ষার্থী আটকের পর দ্বিতীয়দিন সতর্ক অবস্থায় ছিলেন দায়িত্বরতরা।
একইভাবে পরিচয়পত্র মেলাতে গিয়ে জাহিদও ধরা পড়ে যায়। পরে তাকেও পুলিশের হাতে তুলে দেওয়া হয়।
চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের সিনিয়র সহকারী কমিশনার (বায়েজিদ জোন) পরিত্রান তালুকদার জয়নিউজকে বলেন, মো. ছালেহ উদ্দিন নামে একজনের পরিবর্তে পরীক্ষা দেওয়ার জন্য চুক্তি করেন জাহিদ হোসেন।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার বাসিন্দা ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র সজীব নামে একজন তাদের মধ্যে মিডিয়া হিসেবে কাজ করেছিলেন। এছাড়া রোববার (১৬ জুন) হল পরিদর্শক মো. আসাদুজ্জামান টিটুর সন্দেহ হলে প্রবেশপত্র মিলিয়ে দেখতে গিয়ে শাহ আলমের জালিয়াতি ধরা পড়ে। শাহ আলম বাঁশখালী এলাকার মো. নাঈম উদ্দিন হোসেন নামে একজনের হয়ে পরীক্ষা দিতে ২০ হাজার টাকায় চুক্তি করেছিলেন।
এসব ঘটনায় শাহ আলম ও নাঈম উদ্দিন এবং জাহিদ, ছালেহ ও সজীবের বিরুদ্ধে পৃথকভাবে মামলা করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন পুলিশের এ কর্মকর্তা ।
উল্লেখ্য, রোববার (১৬ জুন) থেকে চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশে (সিএমপি) শুরু হয়েছে তিনদিনের উপপরিদর্শক নিয়োগের পরীক্ষা।