খাগড়াছড়ির রামগড়ে হিমাগার না থাকায় প্রতি বছর নষ্ট হচ্ছে লাখ টাকার মৌসুমি ফল। আহরণ, সংরক্ষণ এবং প্রক্রিয়াজাতকরণ ও সঠিক বিপণনের অভাবে নষ্ট হয় এই সব ফল ফলারি। এতে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্থ হয় স্থানীয় কৃষকেরা। এই অবস্থায় সরকারি কিংবা বেসরকারি উদ্যোক্তাদের এলাকায় হিমাগার স্থাপনে এগিয়ে আসার আহ্বান জানিয়েছেন তারা।
বাগান মালিক আনন্দ মোহন খোকন ও তরুন ত্রিপুরা জানান, পাহাড়ে হাজার হাজার একর পাহাড়ি টিলা জুড়ে আম, কাঁঠাল, লিচু, আনারস, পেয়ারা, লেবু, কলা, সফেদা, জাম্বুরা ও জামরুল প্রভৃতি ফলের বাগান রয়েছে। এই সব ফল সঠিক পদ্ধতিতে আহরণ করে সুষ্ঠুভাবে সংরক্ষণের মাধ্যমে সারা বছরই ব্যবহার করা সম্ভব। কিন্তু হিমাগার নেই বলে এগুলো নষ্ট হয়।
রামগড় পাহাড়াঞ্চল কৃষি গবেষণা কেন্দ্রের প্রধান কৃষিবিদ ড. জুলফিকার আলী ফিরোজ জয়নিউজকে বলেন, এই এলাকায় যে পরিমাণ মৌসুমি ফলের উৎপাদান হয় এতে জেম, জেলি, জুস ও বিভিন্ন প্রকার আচারের কারখানা অনায়াসে করা যায়। কাঁঠাল, আনারস, লিচু, আমসহ বিভিন্ন ফল ফলারি প্রক্রিয়াজাত করে সারা বছরই সংরক্ষণ সম্ভব।
এদিকে কৃষকদের অভিযোগ, পাহাড়ি দুর্গম এলাকা থেকে কষ্ট করে বাজারে এনে এই সব ফসলের ন্যায্যমূল্য পান না তারা। সঙ্গে রয়েছে চাঁদাবাজদের উৎপাত। বাজারে আনার সঙ্গে সঙ্গে দালাল ও ফরিয়াদের খপ্পরে পড়তে হয় তাদের। এই অবস্থায় ফসলের বাজারমূল্য অনেক কমে যায়। এতে বঞ্চিত হয় কৃষকেরা।
কেবল মাত্র হিমাগার না থাকায় এই দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে বলেও অভিযোগ তাদের।