চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে বার্থ অপারেটরের সঙ্গে বন্দর ব্যবহারকারী শ্রমিকদের বিভিন্ন দাবি আদায়ে আট বছর আগে হয়েছিল লিখিত চুক্তি। নানা টালবাহনায় আদৌ বাস্তবায়ন হয়নি সেই চুক্তি। উল্টো শ্রমিকরাই আছে নানা কষ্টে। এভাবে চলতে থাকলে আগামীতে শ্রমিক অসন্তোষের কারণে কোনো অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটলে এজন্য শ্রমিকরা কোনোভাবেই দায়ী থাকবে না।
বুধবার (১৯ জুন) বন্দর ব্যবহারকারী শ্রমিক কর্মচারী লীগের সভায় এ হুঁশিয়ারি দেওয়া হয়। ঈদ পুনর্মিলনী ও শ্রমিক-মালিকপক্ষের চুক্তির বিভিন্ন দাবি আদায়ের লক্ষ্যে নগরের নিমতলায় সংগঠনটির কার্যালয়ে এ সভার আয়োজন করা হয়।
সংগঠন সভাপতি মো. মীর নওশাদের সভাপতিত্বে সভায় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন সাধারণ সম্পাদক মো. আলমগীর, সহসভাপতি দুলাল মিয়া, যুগ্ম সম্পাদক শহীদুল্লাহ, সহসম্পাদক নাছির উল্লাহ, সহসাংগঠনিক সম্পাদক শাহ আলম, হুমায়ুন কবির, মো. রফিক, নাছির, মো. লোকমান ও আবুল হোসেন।
সভায় বক্তারা বলেন, বন্দর কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে মালিকপক্ষের সঙ্গে সম্পাদিত চুক্তি লঙ্ঘন করা হচ্ছে। দিনরাত পরিশ্রম করে মাথার ঘাম পায়ে ফেলে চট্টগ্রাম বন্দরকে বিশ্বের উন্নত বন্দরের কাতারে নিয়ে যেতে যারা প্রত্যক্ষভাবে জড়িত, সেই শ্রমিকদের সঙ্গে চুক্তি লঙ্ঘন করে কেউ স্বস্তিতে থাকতে পারবে না। শ্রমিক নেতারা দ্রুত মালিকপক্ষকে চুক্তির দাবিসমূহ মেনে নেওয়ার জোর দাবি জানান।
বক্তারা আরো বলেন, কার্গো বার্থে কর্মরত শ্রমিকদের টন হিসাবে মজুরি প্রদান, দুর্ঘটনাকালীন চিকিৎসা ভাতা, পোশাক, রেইনকোট, জুতা, চট্টগ্রাম বন্দরের সার্কুলার মতে দ্রুত শ্রমিকদের জন্য ২০ শয্যার হাসপাতাল নির্মাণসহ আগামী এক মাসের মধ্যে উৎসাহ বোনাস দিতে হবে। অন্যথায় বন্দর এলাকায় শ্রমিক অসন্তোষের কারণে অনভিপ্রেত কোনো ঘটনা ঘটলে সেজন্য চট্টগ্রাম বন্দর ব্যবহারকারী নেতৃবৃন্দ কিংবা শ্রমিকরা কোনোভাবেই দায়ী থাকবে না।