সীতাকুণ্ডে চিকিৎসা নিতে এসে শ্লীলতাহানির শিকার হয়েছেন এক কলেজছাত্রী। কোমর ব্যথার পরীক্ষা করতে গিয়ে ওই কলেজছাত্রীর শরীরের স্পর্শকাতর অংশে হাত দেওয়ার অভিযোগ ওঠে কুমিরা স্বাস্থ্যসেবা কেন্দ্রের অফিস সহকারী আশরাফ উদ্দিনের বিরুদ্ধে।
এ ঘটনায় উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ওই অফিস সহকারীর বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য সুপারিশ করেছেন। তবে এ ঘটনার এক সপ্তাহ পেরিয়ে গেলেও এখনো কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি।
জানা যায়, গত ১১ জুন কুমিরা স্বাস্থ্যসেবা কেন্দ্রে কোমরে ব্যথার চিকিৎসার জন্য আসেন ওই কলেজছাত্রী। সেবা কেন্দ্রে ডাক্তার আসার আগে শরীরের ওজন, উচ্চতাসহ অন্যান্য পরীক্ষা করার জন্য ডাক্তারের কক্ষে নিয়ে যান অফিস সহকারী আশরাফ উদ্দিন।
এসময় আশরাফ মেয়েটির ওজন, উচ্চতা দেখার পর সালোয়ার খুলতে বলেন। সালোয়ার খোলার পর আশরাফ তার শরীরের স্পর্শকাতর অংশে বিভিন্নভাবে স্পর্শ করেন। বিষয়টি নিয়ে আপত্তি জানালে ডাক্তার ওই কলেজছাত্রীকে দেখবেন না জানিয়ে আশরাফ কক্ষ থেকে বের হয়ে যান।
সীতাকুণ্ড উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. আবদুল মজিদ ওসমানী বলেন, অভিযোগ পাওয়ার পর চট্টগ্রাম জেলা সিভিল সার্জনকে কুমিরা স্বাস্থ্যকেন্দ্রের অফিস সহকারী আশরাফ উদ্দিনের বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য লিখিতভাবে চিঠি দিয়েছি।
স্থানীয় বাসিন্দা আবদুস সবুর জয়নিউজকে বলেন, ইতোপূর্বে কয়েকবার ইউনিয়ন স্বাস্থ্যসেবা কেন্দ্রের ওই সহকারীর বিরুদ্ধে নারীদের চিকিৎসা দেওয়ার নামে শ্লীলতাহানির অভিযোগে বিচার হলেও রাজনৈতিক প্রভাব খাটিয়ে সে প্রতিবার পার পেয়ে যায়।
এ ব্যাপারে অভিযুক্ত কুমিরা স্বাস্থ্যসেবা কেন্দ্রের অফিস সহকারী আশরাফ উদ্দিনের মোবাইলে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তাকে পাওয়া যায়নি।