কাপ্তাইয়ের শীলছড়ির সীতারঘাট কাপ্তাই-চট্টগ্রাম সড়কে প্রতিবছর বর্ষায় পাহাড়ধসে মাটি জমে দুর্ভোগে পড়ে হাজারো মানুষ। কিন্তু একযুগেও সড়ক ও জনপদ বিভাগ কোনো পদক্ষেপ না নেওয়ায় চরমে উঠেছে জনদুর্ভোগ ।
সড়কের পাশের ড্রেনের উপর ভরাট হওয়া মাটি পরিষ্কার না করায় সামান্য বৃষ্টিতেই সড়ক কাঁদাপানিতে একাকার হয়ে পড়ে।
সরেজমিন দেখা যায়, বৃহস্পতিবার (২০ জুন) বিকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত বৃষ্টিতেই কাপ্তাইয়ের শীলছড়ির সীতারঘাট এলাকা সড়কে পাহাড়ধসে হাঁটুসমান মাটি জমে গেছে। এতে সড়ক যোগাযোগ বন্ধ হয়ে যাওয়ায় অর্ধশতাধিক যানবাহন আটকে পড়ে।
এতে কয়েকঘণ্টা সড়কে যানজট লেগে থাকলেও কাপ্তাই-চট্টগ্রাম সড়কের মাটি অপসারণে প্রশাসনের কেউ এগিয়ে আসেনি। পরে বাধ্য হয়ে চট্টগ্রাম থেকে কাপ্তাইয়ে বনভোজনে আসা একটি বাসের শতাধিক যুবক মাটি অপসারণের কাজ শুরু করে।
ঘটনাস্থল থেকে মুঠোফোনে সড়ক ও জনপদ বিভাগের এসডিই শম্ভু সরকারের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয।
এ সময় তিনি বলেন, পর্যাপ্ত জনবল না থাকায় শুক্রবার (২১ জুন) সকালে সড়ক থেকে মাটি অপসারণ করা হবে।
কিন্তু মাটি অপসারণ করা পর্যন্ত দু’পাশে যে কয়েকশ’ গাড়ি আটকে পড়েছে, তার কি হবে- এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি মাটি না সরানো পর্যন্ত তাদের ধৈর্য ধরার পরামর্শ দেন।
পরে কাপ্তাই উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আশ্রাফ আহমেদ রাসেল ও ওয়াগ্গা ইউপি সদস্য মাহাবুব আলম স্থানীয় শ্রমিকদের কাজে লাগিয়ে চলাচলের জন্য সড়কটি সাময়িকভাবে উপযোগী করেন।
ওয়াগ্গা ইউপি সদস্য মো. মাহাবুব আলম জানান, দীর্ঘ একযুগ ধরেই এই সমস্যা চলছে। কাপ্তাই-চট্টগ্রাম সড়কের পাশে ড্রেনেজ ব্যবস্থা থাকলেও সড়ক বিভাগ ড্রেনগুলো পরিষ্কার করার কোনো উদ্যোগ নেয়নি। ফলে প্রতি বর্ষায় এভাবেই সড়কে মাটি জমে অসহনীয় জনদুর্ভোগের সৃষ্টি হয়।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আশ্রাফ আহমেদ জয়নিউজকে বলেন, বিষয়টির স্থায়ী সমাধানে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে জানানো হবে।
জয়নিউজ/পলাশ/আরসি