বাঁশখালীর মধ্যম সরল গ্রামে র্যাবের সঙ্গে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ দুই সহোদর ডাকাত নিহত হয়েছে। তাদের কাছ থেকে ৮টি আগ্নেয়াস্ত্র ও ৫০ রাউন্ড কার্তুজ উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় র্যাবের তিন সদস্যও আহত হন।
শুক্রবার (২১ জুন) সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত এ বন্দুকযুদ্ধ হয়।
নিহত ডাকাতরা হচ্ছে মধ্যম সরলের মৃত জয়নাল আবেদীনের ছেলে দুর্ধর্ষ ডাকাত ও সন্ত্রাসী জাফর আহমদ (৪৮) ও তার ছোট ভাই খলিল আহমদ (৪৩)।
জাফরের বিরুদ্ধে বাঁশখালী থানায় ২৭টি মামলা রয়েছে। এরমধ্যে ১১টি মামলায় গ্রেপ্তারি পরোয়ানা রয়েছে।
এদিকে র্যাবের সঙ্গে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ ডাকাত জাফর নিহত হওয়ার পর পুলিশের পক্ষ থেকে বাঁশখালী থানায় মিষ্টি বিতরণ করা হয়।
জাফর ডাকাত নিহত হওয়ায় এদিন দুপুর থেকে বিকাল পর্যন্ত কয়েক হাজার মানুষ রাস্তায় নেমে পড়ে। দোকানপাটে দিনভর আলোচনায় ছিল জাফর ডাকাত নিহতের ঘটনা।
র্যাব-৭ এর মিডিয়া অফিসার মো. মাশকুর রহমান জয়নিউজকে বলেন, র্যাব-৭ এর টহল দল সরল ইউনিয়নের মধ্যম সরল গ্রামে নিয়মিত অভিযান পরিচালনাকালে জাফর গ্রুপের সশস্ত্র সন্ত্রাসীরা র্যাবের দিকে গুলি ছোঁড়ে। এসময় র্যাব সদস্যরাও পাল্টা গুলি ছুঁড়লে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ ডাকাতরা নিহত হয়। এসময় র্যাবের তিন সদস্যও আহত হয়েছেন।
বাঁশখালী থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি-তদন্ত) মো. কামাল উদ্দিন জয়নিউজকে বলেন, নিহত ডাকাতদের লাশ মর্গে প্রেরণের জন্য থানায় আনা হয়েছে। এ ব্যাপারে পৃথক পৃথক তিনটি মামলা হবে। মামলাগুলো র্যাবের পক্ষ থেকে করা হবে। বন্দুকযুদ্ধে জাফর ডাকাত নিহত হওয়ায় পুলিশের পক্ষ থেকে মিষ্টি বিতরণ করা হয়েছে থানায়। দীর্ঘদিন ধরে এই দুর্ধর্ষ ডাকাতকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা করছিল পুলিশ।