বেলা সাড়ে ১১টা। স্মার্টকার্ড দেওয়া হবে জেনে অনেকটা সময় ধরে লাইনে অপেক্ষা করছিলেন জাহেদুল আলম নামে ২২ বছরের এক যুবক। দীর্ঘ অপেক্ষার পর কার্ডটি যখন হাতে এলো তখন খুশির হওয়ার বদলে রেগে যান জাহেদ। কার্ডে তার ছবির পরিবর্তে এসেছে অপরিচিত এক নারীর ছবি!
শনিবার (২২ জুন) দুপুরে হাটহাজারী উপজেলার ১নং ফরহাদাবাদ ইউনিয়নের ফরহাদাবাদ উচ্চ বিদ্যালয়ে এ ঘটনা ঘটে।
ভুক্তভোগী জাহেদুল আলম ইউনিয়নের ৯নং ওয়ার্ডের গুন্নু মিয়া সারাং বাড়ির মো. জানে আলমের ছেলে।
জাহেদুল আলম জয়নিউজকে জানান, চার বছর আগে ২০১৫ সালে জাতীয় পরিচয়পত্র পাওয়ার জন্য নিবন্ধন করি। প্রায় দুই বছরেরও বেশি সময় পর ২০১৮ সালের নভেম্বর মাসে জাতীয় পরিচয়পত্রে আমার ছবির জায়গায় এক মহিলার ছবি আসে। পরে ওই বছরের ১৮ নভেম্বর সোনালী ব্যাংকে ২৫৩ টাকা জমা দিয়ে উপজেলা নির্বাচন অফিসে কার্ডটি সংশোধনের জন্য আবেদন করি।
তিনি আরও জানান, আমার আবেদনের প্রেক্ষিতে চলতি বছরের ফেব্রুয়ারি মাসে আমার ছবি সম্বলিত সংশোধনকৃত জাতীয় পরিচয়পত্রটি হাতে পাই। কিন্তু আজ (শনিবার) ফরহাদাবাদ উচ্চ বিদ্যালয়ে দীর্ঘ সময় লাইনে অপেক্ষার পর পাওয়া স্মার্টকার্ডে দেখছি আগের ভুলটি রয়ে গেছে। সংশোধনের জন্য প্রয়োজনীয় সবকিছু করার পরও এটা কেন হলো তা বুঝতে পারছি না।
এদিকে স্মার্টকার্ডের জন্য লাইনে অপেক্ষমান শারমিন আক্তার নামে এক গৃহবধূ ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, আমার স্বামীকে দেওয়া স্মার্টকার্ডে তার বাবা-মা উভয়ের নাম ভুলভাবে লিপিবদ্ধ করা হয়েছে।
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মো. আরিফুল ইসলাম মুঠোফোনে জয়নিউজকে জানান, এ রকম প্রায় ৮৫ জন ভোটারের স্মার্টকার্ডে ভুলবশত একজনের ছবির জায়গায় অন্যজনের ছবি সংযোজন করা হয়েছিল। যা আমি নিজে গিয়ে ঢাকা থেকে সংশোধন করে নিয়ে এসেছি। এরপরও কয়েকজন ভোটারের কার্ডে সমস্যা থাকতে পারে। তাই তাদের জন্য আমাদের পরামর্শ হলো, তারা যাতে তাদের আগের সাধারণ জাতীয় পরিচয়পত্র জমা না দেয় এবং বিষয়টি আমাদেরকে অবহিত করে। আমরা বিষয়টি সুরাহা করার জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করব।