`আওয়ামী লীগের ইতিহাস মানে বাংলাদেশের ইতিহাস। গণমানুষের এই দল স্বাধীনতা যুদ্ধ থেকে শুরু করে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার সংগ্রামে প্রধান কাণ্ডারির ভূমিকা পালন করে আসছে। আওয়ামী লীগ আর শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দেশ উন্নয়নের পথে এগিয়ে যাচ্ছে।’
রোববার (২৩ জুন) বিকেলে নগরের ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন মিলনায়তনে আওয়ামী লীগের ৭০তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত সুধী সমাবেশে বক্তারা এসব কথা বলেন।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন।
নগর আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মাহতাব উদ্দিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে সমাবেশে বক্তব্য রাখেন তথ্যমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ, ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী জাবেদ, শিক্ষা উপমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ব্যারিস্টার মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল, চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের মেয়র ও নগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আ জ ম নাছির উদ্দীন।
প্রধান অতিথির বক্তৃতায় ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ বলেন, এখন গ্রাম শহরে পরিণত হয়েছে। গ্রামীণ অর্থনীতির বিকাশ হয়েছে। গ্রামে এখন ৪০ টাকায় কফি বিক্রি হচ্ছে। গ্রামের মেঠোপথগুলো এখন কংক্রিটের রাস্তায় পরিণত হয়েছে। এসব শেখ হাসিনার অবদান। বঙ্গবন্ধু যে দেশকে সোনার বাংলা করার স্বপ্ন দেখেছিলেন, সেই দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন শেখ হাসিনা।
তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেন, উন্নয়ন চলমান রাখতে ক্ষমতার ধারাবাহিকতা ধরে রাখতে হবে। তাই এখন সবাই আওয়ামী লীগের নৌকায় উঠতে চায়। সবাইকে নৌকায় তোলার প্রয়োজন নাই। এই অনুপ্রবেশকারীদের থেকে সাবধান থাকতে হবে। ক্ষমতায় থাকতে হলে আমাদের নেতা-কর্মীদের আরো বিনয়ী হতে হবে।
তিনি আরো বলেন, আমরা দেশে শক্তিশালী বিরোধী দল চাই। গঠনমূলক রাজনৈতিক সমালোচনা চাই। তবে যে বিএনপির পিছনে পেট্রোল বোমা আর আগুন সন্ত্রাসের তকমা জড়িয়ে আছে, তারা গণমানুষের দল হতে পারে না। তাদের রাজনীতি এখন আবর্তিত হচ্ছে খালেদা জিয়ার হাঁটুর ব্যথা, পায়ের ব্যথা এবং তারেক জিয়ার মামলা-মোকদ্দমা নিয়ে।
দেশীয় এবং স্বাধীনতাবিরোধী আন্তর্জাতিক শক্তি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে হত্যা না করলে বাংলাদেশ এতদিনে সিঙ্গাপুরের মতো উন্নত হতো বলেও উল্লেখ করেন তিনি। তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনার সুযোগ্য নেতৃত্ব বাংলাদেশ এখন সেই পথেই আছে। তিনি বাংলাদেশকে উন্নয়নের শিখরে নিয়ে গেছেন।
সভায় নগরপিতা আ জ ম নাছির উদ্দীন বলেন, আমাদের অর্থনৈতিক স্বাধীনতা অর্জিত হয়েছে। অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশ গঠনে আওয়ামী লীগ বদ্ধপরিকর। দলের উন্নয়নের বার্তা সারাদেশে পৌঁছে দিতে নেতাকর্মীদের ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করতে হবে। আর সেই লক্ষ্যে দলের সবাইকে বিনয়ী হওয়ার আহ্বান জানান তিনি।