আইনে রয়েছে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের এক কিলোমিটারের মধ্যে কোনো ইটভাটা স্থাপন করা যাবে না। অথচ আইনের তোয়াক্কা না করেই চট্টগ্রামের লোহাগাড়া চরম্বা ইউনিয়নের মাইজবিলা অলি আহমদ বীর বিক্রম উচ্চ বিদ্যালয়ের সীমানাঘেঁষে গড়ে উঠেছে ইটভাটা। ইটভাটার ধুলো ও ধোঁয়ার মধ্যে চলছে শিক্ষা কার্যক্রম। এতে স্বাস্থ্যঝুঁকিতে রয়েছে বিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থীর।
ইটভাটাটি বন্ধের জন্য বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা মানববন্ধনসহ সংশ্লিষ্ট প্রশাসনকে অবহিত করলেও, এ ব্যাপারে এখনও কোনো উদ্যেগ নেওয়া হয়নি।
সরেজমিন পরিদর্শনে দেখা যায়, বিদ্যালয় ঘেঁষে এসবিএন (শাহ আমানত ব্রিকস) নামে ইটভাটাটির কার্যক্রম চলছে। ইটভাটার মাটি আনা নেওয়ার গাড়িসহ বিভিন্ন শব্দে এবং ইট পোড়ানোর ধোঁয়ার কারণে শিক্ষার্থীদের ত্রাহি অবস্থা। অথচ ইট প্রস্তুত ও ভাটা স্থাপন ( নিয়ন্ত্রণ ) আইন ২০১৩ অনুযায়ী, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের এক কিলোমিটারের মধ্যে কোনো ইটভাটা স্থাপন করা যাবে না। অথচ এ আইন মানা হচ্ছে না। বিদ্যালয়টি ১৯৯৭ সালে প্রতিষ্ঠিত হলেও ইটভাটাটি চালু হয়েছে ২০১০ সালে।
বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা জানায়, ইটভাটার ধোঁয়া ও গাড়ির ধুলো এবং অন্যান্য শব্দে আমরা অতিষ্ঠ। সম্প্রতি আমরা ইটভাটাটি বন্ধের দাবিতে মানববন্ধনও করেছি।
এ ব্যাপারে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. আব্দুল মান্নান জানান, এভাবে স্কুল ঘেঁষে ইটভাটা তৈরি করায় বিদ্যালয়ের পাঠদান কার্যক্রম নানাভাবে ব্যাহত হচ্ছে। স্থানীয় প্রশাসনকে এ ব্যাপারে অবহিত করা হয়েছে।
উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মো. হানিফ জানান, বিদ্যালয় ঘেঁষে ইটভাটা তৈরির ফলে ধোঁয়া ও ধুলোর কারণে শিক্ষার্থীদের শ্বাসকষ্ট, হাঁপানিসহ বিভিন্ন এলার্জিজনিত রোগের প্রকোপ বৃদ্ধি পেতে পারে।
এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) তৌছিফ আহমেদ জয়নিউজকে বলেন, ইটভাটাটির বিরুদ্ধে অভিযোগ পাওয়ার পর তদন্ত করে ঘটনার সত্যতা পেয়েছি। একমাসের মধ্যে ইটভাটাটি বন্ধ করে দেওয়ার নির্দেশ জারি করা হয়েছে।
জয়নিউজ/পিডি/আরসি