পরিচ্ছন্ন সুন্দর নগরী গড়ার প্রত্যয়ে সুষ্ঠু বর্জ্য ব্যবস্থাপনা প্রণয়নে জাপান ইন্টারন্যাশনাল অপারেশন এজেন্সির (জাইকা) বিশেষজ্ঞ দলের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন সিটি করপোরেশন মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীন।
সোমবার (২৪ জুন) সকালে নগরের টাইগারপাসের চসিকের অস্থায়ী কার্যালয়ে এ সাক্ষাৎ অনুষ্ঠিত হয়।
সাক্ষাতকালে জাইকা বিশেষজ্ঞ দল আধুনিক পদ্ধতিতে কিভাবে কঠিন এবং তরল বর্জ্য দুর্গন্ধমুক্ত পরিবেশে অপসারণ করা যায় সে বিষয়ে মেয়রকে অবহিত করেন। ইতোমধ্যে জাইকা নগরের বর্জ্য অপসারণে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনকে বেশ কিছু যানবাহন, যন্ত্রাংশ ও ভ্যান গাড়ি দিয়েছে। বর্তমানে বিশ্বে ময়লা অপসারণের ক্ষেত্রে পরিবেশের নিরাপত্তা ও বায়ু দূষণের বিষয়কে গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনায় নেওয়া হয়।
আধুনিক বিশ্বে থ্রি-আর বা রিসাইকেল, রিডিউস, রিইউস এই তিন পদ্ধতিতে বর্জ্য ব্যবস্থাপনা কার্যক্রম পরিচালনা করা হয়। এ রকম আরো আধুনিক পদ্ধতিতে বর্জ্য ব্যবস্থাপনার কার্যক্রম আলোচনায় উঠে আসে।
নগরে বর্জ্য ব্যবস্থাপনা কার্যক্রম, নতুন ল্যান্ড ফিল্ড, ওজন পরিমাপক এবং জাপান সরকারের অনুদানে বর্জ্যবাহী গাড়িসমূহ সম্পর্কে মেয়রের কাছ থেকে জানতে চান বিশেষজ্ঞ দল। অতি শীঘ্রই বর্জ্য ব্যবস্থাপনা কার্যক্রমসহ জাইকার অন্যান্য কার্যক্রম দেখতে অতিশীঘ্রই আরেকটি বিশেষজ্ঞ দল চট্টগ্রামে আসবেন বলে তারা সিটি মেয়রকে অবহিত করেন।
এছাড়াও বৈঠকে তারা বর্জ্য ব্যবস্থাপনা বিভাগের একটি কাঠামো চসিক প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তার নিকট হস্তান্তর করেন।
সাক্ষাৎকালে সিটি মেয়র বলেন, আমি চট্টগ্রাম নগরীকে পরিচ্ছন্ন ও সুন্দর দেখতে চাই। এজন্য নগরবাসীকে ইতোমধ্যে দুর্গন্ধমুক্ত সুন্দর ও নির্মল সকাল উপহার দেওয়ার জন্য রাতের বেলা ময়লা অপসারণসহ আবর্জনা পরিস্কারে আউটসোর্সিংয়ের ভিত্তিতে অতিরিক্ত ২ হাজার পরিচ্ছন্ন সেবক নিয়োগ দিয়েছি।
তিনি আরো বলেন, চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন ১৯৮৮ সালের প্রবিধান মালা বিগত সময়ে মন্ত্রণালয় কর্তৃক অনুমোদন না হওয়ায় জনবল নিয়োগ দেওয়া সম্ভব হয়নি । সম্প্রতি এই প্রবিধান মন্ত্রণালয় কর্তৃক অনুমোদিত হয়েছে। যা শীঘ্রই গেজেট আকারে প্রকাশিত হবে। এই প্রবিধানমালা পদের অতিরিক্ত ১ হাজার ৪৬ জন নিয়োগের জন্য মন্ত্রীপরিষদ বিভাগ কর্তৃক অনুমোদিত হয়েছে।
এ ছাড়া পরিচ্ছন্ন বিভাগকে বর্জ্য ব্যবস্থাপনা আওতায়ধীন করে বর্জ্য ব্যবস্থাপনা বিভাগ অনুমোদনের জন্য স্থানীয় সরকার বিভাগে দাখিল করা হয় বলে সিটি মেয়র জাইকার বিশেষজ্ঞ দলকে অবহিত করেন।
বৈঠকে সিটি মেয়র চট্টগ্রাম নগরীকে একটি বিশ্বমানের , পরিচ্ছন্ন ও পরিকল্পিতনগর গড়ার প্রত্যয়ে তাঁর গৃহিত পরিকল্পনা বাস্তবায়নে সবমহলে সহযোগিতা কামনা করেন।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন চসিকের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ সামসুদ্দোহা , ওয়েস্ট ম্যানেজমেন্ট প্ল্যানিং সেকশন ম্যানেজার মাসাহিরো সাইতো, প্রকৌশলী রিকায়ে কোদানি, রিপ্রেজেন্টেটিভ কোমায়ে কাওয়াচি ও ওয়েস্ট কালেকশন সিস্টেম ইঞ্জিনিয়ার গোলাম সরওয়ার।