বিগত কয়েক সপ্তাহের ভ্যাপসা গরমের পাশাপাশি লোডশেডিংয়ে নাকাল হয়ে পড়েছেন হাটহাজারী পৌরসভাবাসী। লোডশেডিংয়ের মাত্রা বাড়ার কারণে চরম দুর্ভোগ পোহাচ্ছেন পৌর এলাকার পিডিবি’র আওতাধীন হাজার হাজার মানুষ। ব্যবসা প্রতিষ্ঠান থেকে শুরু করে ক্ষুদ্র শিল্প প্রতিষ্ঠান প্রায় বন্ধ হওয়ার পথে। শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা পড়েছে বেকায়দায়।
এলাকার শিক্ষক-শিক্ষার্থী ও অভিভাবক এ ব্যাপারে চরম অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন।পৌর এলাকার শারমিন আক্তার নামে এক অভিভাবক বিদ্যুতের আসা-যাওয়ার ভেলকিবাজিতে অসন্তোষ প্রকাশ করে বলেন, সারাদিন তো বিদ্যুৎ থাকেই না। ছেলেমেয়েদের পড়াশুনায় চরম ব্যাঘাত সৃষ্টি করছে এই লোডশেডিং।
উপজেলার কয়েকজন ব্যবসায়ী মো. কামাল উদ্দিন, ওমর ফারুক ও মো. আইযুব ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, এত বিদ্যুৎকেন্দ্র চালু হয়েছে বলে শুনছি। এসব বিদ্যুৎকেন্দ্রে কি বিদ্যুৎ উৎপাদন হচ্ছে না! একে ভ্যাপসা গরম, তার ওপর ঘন ঘন লোডশেডিংয়ে আমাদের ব্যবসা-বাণিজ্য পরিচালনায় হিমশিম খেতে হচ্ছে। অথচ এ নিয়ে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কোনো মাথাব্যাথা দেখছি না।
তারা আরও জানান, সোমবার (২৪ জুন) রাত সাড়ে ১১টার দিকে পৌর এলাকার কলাবাগানে পিডিবি’র সাব-স্টেশনের কন্ট্রোল রুমের একটি ব্রেকারে গোলযোগ দেখা দেয়। এরপর থেকে পৌর এলাকায় কয়েকঘণ্টা বিদ্যুৎ ছিল না। রাত দেড়টার দিকে ব্রেকারটির ত্রুটি সারিয়ে পৌর এলাকায় বিদ্যুৎ সরবরাহ স্বাভাবিক করে বিদ্যুৎ কর্তৃপক্ষ। মঙ্গলবার (২৫ জুন) সকাল থেকে লোডশেডিংয়ের মাত্রা আরও বাড়ে। এই গরমে ঘন ঘন লোডশেডিংয়ে পৌরবাসীর জীবন দুর্বিষহ হয়ে উঠেছে।
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে হাটহাজারী পিডিবি’র বিক্রয় ও বিতরণ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী হোসেন ইমাম জানান, সাব স্টেশনের কন্ট্রোল রুমের একটি ব্রেকারে গোলযোগ দেখা দেওয়ায় জনসাধারণ সাময়িক কষ্ট পাচ্ছে। আমরা ত্রুটি সারিয়ে বিদ্যুৎব্যবস্থা স্বাভাবিক করেছি। তবে বিদ্যুৎ সংযোগ লাইনে ত্রুটি সারাতে যে সময়টুকু লাগে, হয়তো ততক্ষণ বিদ্যুৎ থাকে না।
জয়নিউজ/তালেব/আরসি