পেকুয়ায় জেলা প্রশাসকের (ডিসির) নাম ভাঙিয়ে কহলখালী খাল ও খাস জমি দখল করে স্থাপনা নির্মাণের অভিযোগ উঠেছে স্থানীয় এক প্রভাবশালীর বিরুদ্ধে।
পেকুয়া বাজারের পাশে কহলখালী খালটিতে স্থাপনা তৈরির কাজ চললেও নীরব রয়েছে স্থানীয় প্রশাসন।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, পেকুয়া বাজার ও সদর ইউনিয়নের মধ্য-উত্তর অংশের এলাকার বর্ষার পানি নিষ্কাশনের একমাত্র এই খালটি দখল করে তৈরি হচ্ছে বাণিজ্যিক স্থাপনা। বেশ কয়েকজন শ্রমিক কয়েকদিন ধরে কাজ করে স্থাপনার কাঠামো তৈরি করে নিয়েছে।
কিন্তু এ অনিয়মের বিরুদ্ধে স্থানীয় প্রশাসনসহ জনপ্রতিনিধিরা নীরব রয়েছেন বলে অভিযোগ করেছেন স্থানীয়রা।
পেকুয়া বাজারের ব্যবসায়ী আবদুল জব্বারসহ আরো একাধিক ব্যবসায়ীরা জয়নিউজকে জানান, পেকুয়া জমিদার বাড়ির মৃত আবুল কাশেম চৌধুরীর ছেলে সাজ্জাদুল কবির চৌধুরী অনেক বছরের এই খালটি দখল করার পাশাপাশি খাস জায়গাও দখলে নিয়ে দোকান তৈরি করেছেন।
সাধারণ মানুষ এ অবৈধ দখলের প্রতিবাদ করতে গেলেই কক্সবাজার জেলার ডিসি সাহেবের নাম বলে ভয়ভীতি দেখানো হয়।
ক্ষোভ প্রকাশ করে স্থানীয় সচেতন বাসিন্দারা বলেন, স্থানীয় প্রশাসনকে ম্যানেজ করে রাতারাতি তৈরি করা হচ্ছে এ অবৈধ স্থাপনাগুলো।
অভিযোগের ব্যাপারে জানতে চাইলে সাজ্জাদুল কবির চৌধুরী বলেন, বিগত ২০১৫ ইংরেজিতে আমি ১নং খাস খতিয়ানভুক্ত পেকুয়া বাজারের ইউনিয়ন পরিষদের সড়কের পাশের জায়গার ২৬ শতক জায়গা দীর্ঘ মেয়াদী লিজ নিয়েছি। আর লিজকৃত জায়গায় স্থাপনা তৈরি করছি এ ব্যাপারে কে-কি বলে, সেটা আমার কিছু যায় আসে না।
ডিসি সাহেব আপনাকে তো কহলখালী খাল লিজ দেন নি, খালে কেন স্থাপনা তৈরি করছেন- এমন প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, আপনি ডিসি এবং ইউএনও’কে বলেন, যে পরিমাণ জায়গা আমাকে লিজ দেওয়া হয়েছে সেটা পরিমাপ করে দিতে বলেই তিনি সংযোগ কেটে দেন।
এ ব্যাপারে পেকুয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মাহবুব উল করিম জয়নিউজকে বলেন, সাজ্জাদুল কবিরের অনুকূলে ডিসি পেকুয়া মৌজার ১নং খাস খতিয়ানভুক্ত জায়গার ২৬ শতক জায়গা দীর্ঘ মেয়াদী বরাদ্দ দেন। এ অজুহাতে সে স্থাপনা তৈরি করছে। তার এ স্থাপনার বিষয় নিয়ে স্থানীয়রা অভিযোগ করলে আমি উপজেলা ভূমি অফিসের কানুনগোকে পাঠিয়ে কাজ বন্ধ রাখতে নির্দেশ দিয়েছি। এরপরও যদি স্থাপনা তৈরি অব্যাহত রাখে তাহলে তার বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
কক্সবাজার জেলা প্রশাসক কামাল হোসেন জয়নিউজকে বলেন, পেকুয়ায় কেউ তার নাম ভাঙিয়ে অন্যায়ভাবে দখল-বেদখলের সঙ্গে জড়িত হলে তদন্ত করে তা আইনগতভাবে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।