স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেছেন, বরগুনাতে যে ঘটনা ঘটেছে সেটি খুবই দুঃখজনক। তবে ইতোমধ্যে পুলিশ এ ঘটনায় জড়িত দুইজনকে গ্রেপ্তার করেছে। এ ঘটনায় জড়িত সবাইকে খুব দ্রুত গ্রেপ্তার করা হবে এবং দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দেওয়া হবে।
বৃহস্পতিবার (২৭ জুন) দুপুরে নগরের একটি কনভেনশন সেন্টারে বাংলাদেশ উইমেন অ্যাওয়ার্ড ২০১৯ প্রদান অনুষ্ঠানে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে মন্ত্রী বলেন, ৯৯৯ সেবাটি দেশে এখন অনেক জনপ্রিয়। এ সেবার মাধ্যমে অপরাধ দমন অনেক সহজ হয়েছে। এটিকে আরো উন্নত করার পরিকল্পনা আছে সরকারের।
তিনি বলেন, বাংলাদেশের নারীরা এখন অনন্য উচ্চতায় পৌঁছে গেছেন। কিছুদিন আগেই পাকিস্তানের মেয়েদের ১২ গোল দিয়েছে বাংলাদেশের মেয়েরা। পরিচর্যা পেলে আমাদের নারীরা যে যেকোনো কিছু করতে পারে সেটি এখন প্রমানিত। যেসব জায়গায় নারী পুলিশ সুপার দেওয়া হয়েছে তারা নিজেদের যোগ্যতাবলে অর্পিত দায়িত্ব পালন করছেন। শত প্রতিকূল অবস্থা মোকাবেলা করে নারী পুলিশ সদস্যরা তাদের কাজ করে যাচ্ছেন।
শিক্ষা উপমন্ত্রী ব্যারিস্টার মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দেশে নীরব নারী বিপ্লব চলছে। কারণ প্রধানমন্ত্রী বিশ্বাস করেন নারীদের সামনের কাতারে না আনলে উন্নয়ন কখনো টেকসই হবে না। বর্তমানে সবক্ষেত্রে নারীদের পদচারণা উল্লেখযোগ্য। তবে সেই নারীরা যাতে মাঝপথে হারিয়ে না যায় সেটা আমাদের নিশ্চিত করতে হবে, কারণ সেই নারীদের ওপর জাতি বিনিয়োগ করেছে।
চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীন বলেন, নারীদের অবজ্ঞা করে কোনো জাতি উন্নত হতে পারে না। তাই প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নারীর ক্ষমতায়নে বিশেষভাবে নজর দিয়েছেন। এর ফলশ্রুতিতে পুলিশে এখন অসংখ্য নারী সদস্য কাজ করছেন। কর্মরত নারী সদস্যরা যত বেশি সফল হবেন তত বেশি নারীরা এ পেশায় আসবে। দেশকে নিয়ে আমাদের কোন মতবিরোধ থাকতে পারে না। সবার ওপর দেশ, এ মন্ত্রে আমাদের কাজ করে যেতে হবে।
পুলিশের আইজি (ইন্সপেক্টর জেনারেল) জাবেদ পাটোয়ারী বলেন, বর্তমানে পুলিশ সদস্যদের মধ্যে ৭ শতাংশ নারী। এ সংখ্যাটি আমরা ধীরে ধীরে আরো বাড়াতে চাই। পুলিশ সুপার থেকে থানা, এমনকি ট্রাফিক বিভাগেও নারীরা পেশাদারিত্ব ও দক্ষতার সঙ্গে কাজ করে যাচ্ছে। স্পেশাল ব্রাঞ্চ, পিবিআই, সাইবার ক্রাইম ব্রাঞ্চেও নারীরা নিজেদের যোগ্যতা দিয়ে স্থান করে নিচ্ছে।
চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশ (সিএমপি) কমিশনার মো. মাহাবুবর রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরো বক্তব্য রাখেন সংসদ সদস্য ওয়াসিকা আয়েশা খান, অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার নুরুল আলম নিজামী, পুলিশের চট্টগ্রাম রেঞ্জের ডিআইজি খন্দকার গোলাম ফারুক, সিএমপির অতিরিক্ত কমিশনার (অপরাধ ও অভিযান) আমেনা বেগম প্রমুখ।
অনুষ্ঠানে স্ব-স্ব ক্ষেত্রে অবদানের জন্য নয় জন নারী ও একজন পুরুষ পুলিশ সদস্যকে পুরস্কৃত করা হয়।