শুরুটা করেছিলেন কেমার রোচ। তার বোলিং তোপে ভারতের শুরুটা হয়েছে নড়বড়ে। একাই নিয়েছেন ভারতের টপ অর্ডারের ৩ ব্যাটসম্যান। সেই ধাক্কা সামলে বিরাট কোহলি ও মহেন্দ্র সিং ধোনির ফিফটিতে নির্ধারিত ওভার শেষে ৭ উইকেট ২৬৮ রান সংগ্রহ করেছে টিম ইন্ডিয়া। অর্থাৎ উইন্ডিজকে জিততে হলে ২৬৯ রান করতে হবে।
বৃহস্পতিবার (২৭ জুন) ম্যানচেস্টারের ওল্ড ট্রাফোর্ডে টসে জিতে ব্যাটিং বেছে নেন ভারতীয় অধিনায়ক বিরাট কোহলি।
এদিন ভারতের ব্যাটিংয়ের শুরুটা অবশ্য ভালো হয়নি। দলীয় ২৯ রানেই ওপেনার রোহিত শর্মা বিদায় নেন। যদিও শুরুতে আম্পায়ার আউট দেননি। পরে উইন্ডিজ রিভিও নিলে থার্ড আম্পায়ার আউটের সিদ্ধান্ত জানান। বিশ্বকাপে ক্যারিবীয় পেসার কেমার রোচের প্রথম উইকেট এটি। রোচের বলে উইকেটরক্ষক শাই হোপের হাতে ক্যাচ দেওয়ার আগে রোহিতের ব্যাট থেকে এসেছে ১৮ রান।
রোহিতের বিদায়ের পর রাহুল ও কোহলির জুটিতে আসে ৬৯ রান। এরপর বিজয় শঙ্কর ও কেদার যাদবকেও হোপের হাতে ক্যাচ দিতে বাধ্য করেন রোচ। যদিও যাদবকে শুরুতে আউট দেননি অল-ফিল্ড আম্পায়ার। পরে রিভিও নেয় উইন্ডিজ আর তাতেই বিদায় নিতে হয় যাদবকে। এর মাঝে ৫৫ বলে ৬ বাউন্ডারিতে ফিফটি করেন কোহলি। এটি কোহলির চলতি বিশ্বকাপে নিজের চতুর্থ ও সবমিলিয়ে ৫৩তম ওয়ানডে ফিফটি।
ধোনি ও কোহলি মিলে ইনিংসের ঘাটতি মেরামত করার চেষ্টা করেন। দুজনের জুটিতে আসে ৪০ রান। তবে ধোনি ছিলেন অতি সাবধানী। এদিকে সেঞ্চুরির পথে এগিয়ে যেতে থাকা কোহলি হোল্ডারের নিরীহদর্শন বাউন্সারে ক্যাচ তুলে দিলে ফের বিপাকে পড়ে যায় ভারত। আউট হওয়ার আগে তার ব্যাট থেকে আসে ৮২ বলে ৮ বাউন্ডারিতে সাজানো ৭২ রানের ইনিংস।
কোহলির বিদায়ের পর হার্দিক পান্ডিয়ার সঙ্গে ৭০ রানের জুটি গড়েন ধোনি। পান্ডিয়া ৩৮ বলে ৪৬ রানের ঝড়ো ইনিংস খেলে শেলডন কোটরেলের বলে তুলে মারতে গিয়ে ফ্যাবিয়েন অ্যালেনের হাতে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন। পান্ডিয়ার বিদায়ের পর ধোনির ব্যাটে রানের ফোয়ারা ছুটে। শেষ ১৬ রান তুলতে তিনি খরচ করেন মাত্র ৬ বল। শেষ পর্যন্ত ৬১ বলে ৩ চার ও ২ ছক্কায় ৫৬ রানে অপরাজিত থেকে মাঠ ছাড়েন ধোনি। এটি ধোনির ওয়ানডে ক্যারিয়ারের ৭২তম ফিফটি।
বল হাতে ১০ ওভারে ৩৬ রান খরচে ৩ উইকেট পেয়েছেন কেমার রোচ। ২টি করে উইকেট নিয়েছেন কটরেল ও হোল্ডার।