কমিটিতে শৃঙ্খলা ফেরাতে বয়সসীমা, ত্যাগ ও যোগ্যতার ভিত্তিতে তফসিল ঘোষণার মাধ্যমে কাউন্সিল করার যে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে তা পুরোপুরিভাবে প্রত্যাখ্যান করেছে ছাত্রদলের বিলুপ্ত কমিটির একাংশ। এ কারণে সঠিক সমাধানে আসতে পারছে না বিএনপি। এদিকে ছাত্রদলকে ঢেলে সাজাতে গঠিত সার্চ কমিটি ব্যর্থ হওয়ার পর বিএনপির নীতিনির্ধারণী ফোরাম জাতীয় স্থায়ী কমিটিকে দায়িত্ব দিয়েছেন তারেক রহমান। শনিবার (২৯ জুন) বিকালে স্থায়ী কমিটির নেতারা বৈঠকে বসছেন। এই বৈঠকের মূল এজেন্ডাই হচ্ছে ছাত্রদলের সংকট সমাধান।
বিএনপি নেতাদের মতামত হলো, ছাত্রদলের মধ্যে রয়েছে নানা সিন্ডিকেট। এসব সিন্ডিকেটের কারণেই ছাত্রদলের এই সংকট সমাধান কঠিন হয়ে পড়েছে। এই সংকট সমাধান করতে গিয়ে মূল বিএনপিতেও সংকট দেখা দিয়েছে।
বিএনপি সূত্রে জানা যায়, সমাধান করতে চাইলে স্থায়ী কমিটির নেতাদের ক্ষমতা দিতে হবে। সেক্ষেত্রে দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানকেও অভিভাবকসুলভ আচরণ করতে হবে। তাহলেই ছাত্রদল সমস্যার সমাধান হবে।
সূত্রে জানা গেছে, তারেক রহমান যেমন তফসিল অনুযায়ী কাউন্সিল করতে চান, তেমনি যাদের ত্যাগ ও যোগ্যতা আছে তাদের যুবদল ও স্বেচ্ছাসেবক দলসহ অন্যান্য অঙ্গ সংগঠনে রাখতে চান। তিনি কাউকেই ফেলে দিতে চান না। তবে সমাধান না হলে ছাত্রদলের কাউন্সিল হবে কি না তা নিয়ে শঙ্কা রয়েছে বিএনপিতেই।
বিএনপি নেতারা মনে করেন ছাত্রদলের এই সংকট সমাধান সহজ হবে না। তারেক রহমানের হস্তক্ষেপ ছাড়া সমাধান সম্ভব নয়। এই অবস্থায় শনিবার বিকালে স্থায়ী কমিটির বৈঠকে লন্ডন থেকে স্কাইপেতে যুক্ত থাকবেন তারেক রহমান।
নির্বাচন পরিচালনা কমিটির অন্যতম নেতা ও বিএনপির প্রচার সম্পাদক শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানি বলেন, স্থায়ী কমিটির পরামর্শে আমরা মনোনয়নপত্র বিতরণ বন্ধ রেখেছি। দলের স্থায়ী কমিটির বৈঠকে বিষয়টি উঠছে, তাই বৈঠককে আমরা গুরুত্ব দিচ্ছি। তারা পরিস্থিতি বিচার করে সঠিক সিদ্ধান্তই দেবেন।
ছাত্রদলের বিলুপ্ত কমিটির সহসভাপতি ইখতিয়ার কবির বলেন, ফরম বিতরণ স্থগিত রাখায় শনিবার পর্যন্ত আমাদের আন্দোলন কর্মসূচি স্থগিত রেখেছি।
জয়নিউজ/আরসি