নগরের লালখান বাজারে দু’পক্ষের সংঘর্ষের সময় হামলা হয়েছে ওয়ার্ড আওয়ামী লীগ কার্যালয়ে। ভাংচুর করা হয়েছে আসবাবপত্র। এর চেয়ে বড় ব্যাপার, ভেঙে ফেলা হয়েছে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ছবি। এ অবস্থায় প্রশ্ন উঠেছে, বঙ্গবন্ধুর ছবি ভাংচুরের দুঃসাহস করল কারা?
এদিকে অভিযোগ উঠেছে স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা আবুল হাসনাত মো. বেলালের নেতৃত্বে ভাংচুর করা হয়েছে ওয়ার্ড আওয়ামী লীগ অফিস ও বঙ্গবন্ধুর ছবি। এ অভিযোগ লালখান বাজার ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক দিদারুল আলম মাসুমের।
মাসুম জয়নিউজকে বলেন, তারা পূর্ব পরিকল্পিতভাবেই মিছিলটি আমাদের কার্যালয়ের দিকে নিয়ে আসে। তখন খুনি বেলালের নেতৃত্বে একদল যবুক আমাদের অফিসের দিকে গুলি ও ইট-পাটকেল ছোঁড়া শুরু করে। এসময় অফিসের সামনে থাকা মোটরসাইকেল ভাংচুর করে তারা।
তিনি বলেন, হামলার সিসিটিভি ফুটেজে স্পষ্ট দেখা গেছে বেলাল, জাহিদ, সোহাগ ও মুরাদ গুলি ছুঁড়ছে। এমনকি তারা অফিসের নিচে থাকা বঙ্গবন্ধুর ছবিও ভাংচুর করে। তারা নিজেদের আওয়ামী লীগের সমর্থক বলে দাবি করে। বঙ্গবন্ধুর ছবি ভাংচুর করে কিভাবে আওয়ামী লীগের সমর্থক হওয়া যায়?
তবে এ অভিযোগ অস্বীকার করেছেন স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা আবুল হাসনাত মো. বেলাল। তিনি জয়নিউজকে বলেন, বঙ্গবন্ধুর ছবি ভাংচুরের তথ্য মিথ্যা। শুক্রবার আমার এক কর্মীকে ছুরিকাঘাত করে মাসুম গ্রুপের কর্মীরা। প্রতিবাদে আমরা আজ (শনিবার) মানববন্ধনের আয়োজন করি। মানবন্ধনের পরে মিছিল করার সময় মাসুমের অনুসারীরা ইট-পাটকেল ও গুলি ছোঁড়া শুরু করে। তখন তাদের কর্মীদের সঙ্গে আমাদের সংঘর্ষ হয়। এতে আমাদের চার কর্মী আহত হয়েছে।
এর আগে শনিবার (২৯ জুন) বিকেল ৪টায় আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে বাঘঘোনা এলাকায় সংঘর্ষ হয়। স্থানীয় ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক দিদারুল আলম মাসুম ও স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা আবুল হাসনাত মো. বেলালের অনুসারীরা এ সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। এতে চারজন আহত হয়। তারা হলেন রাসেল (১৫), সুমন (১৫), ইমন (১৭) ও মনির হোসেন (৪০)।
খুলশি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) প্রণব চৌধুরী জয়নিউজকে বলেন, লালখান বাজারে দু’পক্ষের সংঘর্ষে আ’লীগ অফিসে ও বঙ্গবন্ধুর ছবির ভাংচুরের ঘটনা শুনেছি। ঘটনাস্থলে পুলিশ মোতয়েন করা হয়েছে। তবে আ’লীগ অফিসে ও বঙ্গবন্ধুর ছবি ভাংচুর কারা করেছে, তা তদন্ত সাপেক্ষে পরে জানানো হবে।